জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তি শনাক্ত

ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।

সোমবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এ কথা জানান সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে কারও নাম বলা যাচ্ছে না। আমরা তাদের শনাক্ত করতে পেরেছি। এখন তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

ছিনিয়ে নেওয়া আসামিরা হলেন, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুরের মইনুল হাসান শামীম এবং লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার ভেটেশ্বর গ্রামের আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব।

তারা জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য। ডিএমপির প্রসিকিউশনের পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন বাদী হয়ে এ ঘটনায় এজাহারনামীয় ২০ জনসহ আরও ২১ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে সাগর ওরফে বড় ভাই ওরফে মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত মেজর) পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় আয়মান ওরফে মশিউর রহমান, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক, তানভীর ওরফে সামশেদ মিয়া ওরফে সাইফুল ওরফে তুষার বিশ্বাস, রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ওরফে সুমন ও মো. ওমর ফারুক ওরফে নোমান ওরফে আলী ওরফে সাদ পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে।

পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দুটি মোটরসাইকেলে আনসার আল ইসলামের অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জন সদস্য অবস্থান নেয়। এ ছাড়া আদালতের আশপাশে অবস্থান করা অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জন আনসার আল ইসলামের সদস্য আদালতের মূল ফটকের সামনে অবস্থান করে। এরপর তারা পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে খুন হয়েছিলেন প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন। সে মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন পলাতক দুই জঙ্গি।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.