শস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ বাড়ল রাশিয়া-ইউক্রেনের

ইউক্রেনের বিভিন্ন বন্দরে আটকা কোটি কোটি টন খাদ্যশস্য রপ্তানির লক্ষ্যে যুদ্ধরত রাশিয়ার সাথে স্বাক্ষরিত বহুল আলোচিত শস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে ইউক্রেন-রাশিয়ার খাদ্যশস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির এই তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে ইউক্রেনের অবকাঠামোমন্ত্রী আলেকজান্ডার কুব্রাকভ এক টুইটে জানান, খাদ্যশস্য চুক্তির মেয়াদ আরও ১২০ দিন বাড়বে। ইউক্রেনের মন্ত্রী এর বেশি তথ্য দেননি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তার দেওয়া তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তবে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, চুক্তিটির মেয়াদ নতুন করে বাড়াতে সবপক্ষ রাজি হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে নিরাপদে সার, খাদ্যপণ্য, শস্য রপ্তানি অব্যাহত রাখতে কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তিতে নতুন করে সব পক্ষ সম্মত হওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানাই।’

বিশ্বের গমের মোট চাহিদার বড় একটি অংশ পূরণ করে ইউক্রেন এবং রাশিয়া। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা করার পর আন্তর্জাতিক বাজারে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় সার রপ্তানিও। এতে বিশ্বে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়।

ইউক্রেনের খাদ্য শস্য রপ্তানি পুনরায় চালু করতে জুলাইয়ে জাতিসংঘ ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মধ্যস্থতায় চুক্তিতে সম্মত হয় রাশিয়া-ইউক্রেন। এ চুক্তির পর বিশ্ব বাজারে আবারও ইউক্রেনের শস্য আসা শুরু করে।

চুক্তি অনুযায়ী, ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগরীয় বন্দরগুলো দিয়ে টনে টনে শস্য বিশ্ববাজারে যায়। অবশ্য চলতি মাসের শুরুর দিকে রাশিয়া চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণার পর আবারও ফিরেছে। এদিকে শস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ বাড়বে এমন গুঞ্জন চলার মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের মূল্য কিছুটা কমেছে।

 

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.