বিনিয়োগ ১৫ টাকা থাকলেও কেনা যাবে এসএমই বোর্ডের শেয়ার

পুঁজিবাজারে এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ বা শেয়ার কিনতে পুঁজিবাজারে ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ না থাকলেও চলবে। এক মামলার প্রেক্ষিতে এসএমই বোর্ডের শেয়ার কেনার জন্য কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকার শর্তটি ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে এ ধরনের সিদ্ধান্তকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।

এ সংক্রান্ত একটি আদেশের অনুলিপি বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে।

আদালতের এই আদেশের ফলে এসএমই বোর্ডের শেয়ার কেনার সুযোগ সবার জন্য অবারিত হয়েছে। ফলে অতিসামান্য টাকা বিনিয়োগ থাকলেও একজন বিনিয়োগকারী এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারবেন।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এই বাজারে তালিকাভুক্ত ১৩ কোম্পানির শেয়ার সর্বোচ্চ ৯৭ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ১৪ টাকা ১০ পয়সা দরে কেনাবেচা হয়েছে। বর্তমানে বাজারে কোনো লট পদ্ধতি নেই। চাইলে মাত্র একটি শেয়ারও কেনাবেচা করা যায়। তাই একজন বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগের পরিমাণ মাত্র ১৫ টাকা হলেও তিনি এসএমই বোর্ডের একটি শেয়ার কিনতে পারবেন (যদি একই দাম বহাল থাকে)।

উল্লেখ, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর লেনদেনের জন্য এসএমই প্লাটফর্ম চালু হয়। প্রথমে এক কোটি, পরে ৫০ লাখ, এরপর ২০ লাখ এবং সবশেষ ৩০ লাখ- পুঁজিবাজারে কত টাকা বিনিয়োগ থাকলে এসএমই বোর্ডের শেয়ার কেনা যোগ্যতা নির্ধারণ করে দয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

পুঁজিবাজারে এসএমই (স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর প্লাটফর্ম) মার্কেটে লেনদেনের জন্য কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকার শর্ত দিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।

এসএমইর শেয়ারে বিনিয়োগের জন্য কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকার বিনিয়োগ থাকার শর্তকে চ্যালেঞ্জ করে রাজধানীর দিলকুশার বাসিন্দা মো. রাজু হাসান হাইকোর্টে রিট করেন। তার পক্ষে শুনানি করেন মোস্তফা কামাল। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

গত ১৩ নভেম্বর বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ  তিন মাসের জন্য ওই শর্ত স্থগিত রেখে আদেশ জারি করেন।

এদিকে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আদালতের আদেশে এসএমই বোর্ডের শেয়ারে সব বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হলেও বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের এর ঝুঁকি বিশ্লেষণ করা উচিত। কারণ এসএমই বোর্ডের কোম্পানির কিউআই অনুমোদনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু ছাড় দেওয়া হয়। এই বোর্ডের কোম্পানিগুলোকে মূল বোর্ডের কোম্পানির মত সমান কমপ্লায়েন্স পরিপালন করতে হয় না।  তাই অনেক দেখ-শুনে সিদ্ধান্ত নেওযা ভাল।

 

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.