ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য দেশের প্রথম ডিজিটাল ইন্স্যুরেন্স প্ল্যান

গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য দেশের প্রথম ডিজিটাল ইন্স্যুরেন্স প্ল্যান উদ্বোধন করেছে।

গার্ডিয়ান লাইফের সিইও, শেখ রকিবুল করিম, এফসিএ, জাতীয় প্রেস ক্লাবে উপস্থিত কোম্পানিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও সাংবাদিকদের সামনে “গার্ডিয়ান ক্যান্সার কেয়ার” নামক এই উদ্ভাবনী পরিষেবাটি উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের  সদস্য (লাইফ) কামরুল হাসান, এবং বাংলাদেশ ক্যান্সার এইড ট্রাস্ট (ব্যানক্যাট) এর প্রতিষ্ঠাতা নাজমুস আহমেদ আলবাব ও সাধারণ সম্পাদক মাহজাবিন ফেরদৌস।

এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য কোনো সাশ্রয়ী সমাধান নেই। জাতীয় ক্যানসার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, একজন ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসায় বছরে প্রায় ৬৩৯,০০০ টাকা ব্যয় হয়ে থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে এই গুরুব্যধিতে আক্রান্ত স্বজনের ডাক্তারী পরামর্শ, সার্জারি, থেরাপি এবং ওষুধপত্রের খরচ বহন করতে হলে বেশিরভাগ পরিবার গুরুতর অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে।

তাই বিশ্বব্যাপী যেহেতু ক্যান্সারের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, গার্ডিয়ান ক্যান্সার কেয়ার এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত বিপর্যয়ে গ্রাহক এবং তার পরিবারের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ।

গার্ডিয়ান ক্যান্সার কেয়ার অত্যন্ত সাশ্রয়ী বার্ষিক প্রিমিয়ামে (১৫০ টাকা থেকে শুরু) গার্ডিয়ান লাইফের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম – ইজিলাইফ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ক্রয় করা যাবে। ইন্স্যুরেন্স প্ল্যানটির শর্তানুযায়ী, পলিসি গ্রাহক যদি ভবিষ্যতে ক্যান্সার এ আক্রান্ত হন, তবে তাকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত  বীমা অংক প্রদান করা হবে। এছাড়াও, পলিসি গ্রাহকের যদি আর্লি-স্টেজ ক্যান্সার শনাক্ত হয়, ষে ক্ষেত্রে তার পরবর্তী ৩ বছরের বীমা প্রিমিয়াম মওকুফ করা হবে।

অনুষ্ঠানে গার্ডিয়ান লাইফের সিইও, শেখ রকিবুল করিম, এফসিএ বলেন, “গার্ডিয়ান লাইফ সর্বদা বাংলাদেশে বিশ্বমানের জীবন ও স্বাস্থ্য বীমা পরিষেবা প্রবর্তন করার চেষ্টা করে এসেছে । প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই গ্রাহকদের জন্য উদ্ভাবনী এবং সাশ্রয়ী মূল্যের ইন্স্যুরেন্স সেবা নিশ্চিত করাই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য। আমাদের সাশ্রয়ী ডিজিটাল ক্যান্সার কেয়ার প্ল্যান আমাদের এই যাত্রায় আরেকটি মাইলফলক যোগ করল। ”

 

অর্থসূচক/ এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.