বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরপরই এটা নিয়ে জাপান উদ্বেগ জানিয়েছিল। আমরা নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার কথা শুনেছি, যা পৃথিবীর আর কোথাও শুনিনি। আমি আশা করবো, ‘এবার তেমন সুযোগ থাকবে না বা এমন ঘটনা ঘটবে না। কারণ নির্বাচন নিয়ে বৈশ্বিক মতামতের একটা গুরুত্ব আছে’।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) সেন্টার ফর গর্ভন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন জাপানি রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে জাপানি দূত বলেন, আমি প্রত্যাশা করি এবার বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নেবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা আরও সতর্ক হবেন বলে আমরা আশা করছি। জাপান বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে আমাদের চাওয়া থাকবে, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা আরও সামনে এগিয়ে যাবে। আর উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা চলমান রাখতে হলে অবশ্যই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি। সেজন্য আমাদের চাওয়া… নির্বাচনে গণতান্ত্রিক উপায়ে সকল দল অংশগ্রহণ করবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান। অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসূচক/এমএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.