আফ্রিদি চোটে না পড়লে ভিন্ন কিছু হতে পারতো: শচিন

নাসিম শাহ-হারিস রউফদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বেন স্টোকস ও মঈন আলীকে আটকে রেখেছিল পাকিস্তান। ম্যাচের তখনও ৬ ওভার বাকি। ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ৪১ রান আর পাকিস্তানের চাই ৪ উইকেট। শেষ ওভারের জন্য প্রস্তুত ছিলেন মোহাম্মদ ওয়াসিম, হারিস এবং শাহীন শাহ আফ্রিদি। উইকেট থেকে বাড়তি সুবিধা পাওয়ায় ইংলিশদের জন্য সহজ ছিল না পাকিস্তানের এই তিন পেসারকে সামলানো।

রউফ আর নাসিম মিলে স্টোকসদের আটকেও রাখলেন, তবে বিপত্তি ঘটলো ১৬তম ওভারে। হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ নিয়ে চোটে পড়লেন আফ্রিদি। খানিকটা বিশ্রাম নিয়ে আবার বোলিংয়েও ফিরেন তিনি। তবে এক বল করার পরই ব্যাথা অনুভব করেন এবং মাথ ছাড়েন। বিকল্প বোলার হিসেবে ইফতিখার আহমেদ বল হাতে নিতেই আক্রমণ করে বসেন স্টোকস ও মঈন। এরপর আর আটকানো যায়নি ইংল্যান্ডকে।

ইংল্যান্ডকে অভিনন্দন জানিয়ে শচিন টেন্ডুলকার টুইটারে লিখেন, ‘ইংল্যান্ড নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জেতায় তাদের অভিনন্দন। অসাধারণ এক অর্জন। লড়াকু এক ফাইনালই হয়েছে। আফ্রিদি যদি চোটে না পড়ত, তাহলে এটা আরও আকর্ষণীয় হতে পারত। উত্থান-পতনের কী এক বিশ্বকাপ!’

পাকিস্তানের দেয়া ১৩৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল ইংল্যান্ড। যেখানে শুরুর ওভারে অ্যালেক্স হেলসকে হারালেও জস বাটলারের ব্যাটে দারুণ শুরু করে ইংলিশরা। কিন্তু ব্যাক্তিগত ৩০ রান পেরোনোর আগেই বাটলারকেই সাজঘরে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে খেলায় ফেরান হারিস রিউফ। তবে বেন স্টোকসের ঝলকে শেষ পর্যন্ত পেরে উঠেননি পাকিস্তান। এই অলরাউন্ডার এক প্রান্ত আগলে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। অবশ্য শেষটা একটু ভিন্ন রকমও হতে পারতো। আফ্রিদি চোটে পাকিস্তানের শেষ আশাটুকুও নিভে যায়।

পায়ের আঙুলে চোট পেয়ে নিজের কোটার ২.১ ওভার বল করে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান আফ্রিদি। তার অসমাপ্ত ওভার করতে তখন ডাকা হয় ইফতিখার আহমেদকে। যেখানে পাঁচ বলেই ম্যাচের মোমেন্টাম পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। এই পাঁচ বলের মধ্যে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে জয়ের সমীকরণ অনেকটাই সহজ করে ফেলেন স্টোকস।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.