এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস ৫০ টাকা

বুকবিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওতে পুঁজিবাজারে আসার প্রক্রিয়ায় থাকা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির নিলাম শেষ করেছে। এতে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা দরে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত কোটার শেয়ার বিক্রি শেষ হয়েছে। ফলে কোম্পানিটির শেয়ারের কাট-অফ মূল্যও (Cut-off Price) দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা।

আইপিওতে কাট-অফ মূল্যের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করতে হবে।

এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড পুঁজিবাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। টাকা উত্তোলন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নিলাম আয়োজনের জন্য গত ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটিকে অনুমতি দেয়। এর প্রেক্ষিতে গত ১০ অক্টোবর বিকাল ৩টায় থেকে একটানা ১৩ অক্টোবর বিকাল ৩টা পর্যন্ত কোম্পানিটির বিডিং অনুষ্ঠিত হয়।

বিডিংয়ে প্রতিটি শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম উঠে ৫০ টাকা। আর সর্বনিম্ন দাম প্রস্তাব করা হয় ২০ টাকা।

প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুসারে, ৫০ টাকা দরে এশিয়াটিক ল্যাবরেটিজের শেয়ার কেনার জন্য ১৬১টি প্রস্তাব জমা পড়ে। কেনার জন্য প্রস্তাবিত মোট শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার, যা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ারের১৭৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। অর্থাৎ সর্বোচ্চ দামে-ই প্রাতিষ্ঠনিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত কোটার প্রায় পৌনে দুইগুন প্রস্তাব জমা পড়ে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ টাকা দরে শেয়ার কেনার জন্য দর প্রস্তাব করা হয় ১৪ টি, মোট শেয়ার সংখ্যা ১৫ লাখ ৮২ হাজার। আর ৪০ টাকা দরে মোট ৮ লাখ ২৬ হাজার শেয়ার কেনার জন্য প্রস্তাব জমা পড়ে ৭টি।

নিলামে ৩৮ টাকা দরে শেয়ার কেনার জন্য ৯টি প্রস্তাব, ৩৭ টাকা দরে ৫টি, ৩৫ টাকা দরে ৬টি, ৩৪ টাকা দরে ২টি, ৩২ টাকা দরে ৯টি, ৩১ টাকা দরে ৫টি, ২৫ টাকা দরে ২টি ও ২০ টাকা দরে ১টি প্রস্তাব জমা পড়ে।

উল্লেখ্য, ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে পুনঃমূল্যায়ন পরবর্তী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৫৬ টাকা ৬১ পয়সা। আর পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৩৫ টাকা ৪৮ পয়সা। পাঁচ বছরের ভারিত গড় শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩ টাকা ২১ পয়সা।

আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিএসইসির দেওয়া শর্ত অনুসারে, তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো ধরনের লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না।

কোম্পানিটির আইপিওর ইস্যু ম্যানেজার হচ্ছে শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.