উত্তর কোরিয়ার মিসাইলে শেয়ারের দাম বেড়েছে জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ায়

জাপানের উপর দিয়ে উত্তর কোরিয়ার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উড়ে যাওয়ার খবরে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের বাজারে বেড়ে গেছে কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম। কোম্পানিগুলো প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সরঞ্জাম উৎপাদন করে থাকে।

খবর সিএনবিসির।

খবর অনুসারে, আজ (৪ অক্টোবর) উত্তর কোরিয়ার ছোঁড়া একটি ব্যালাস্টিক মিসাইল জাপানের উপর দিয়ে উড়ে যায়। জাপানের উপর দিয়ে কোরিয়ার মিসাইল উড়ে যাওয়ার ঘটনা গত পাঁচ বছরের মধ্যে এটিই প্রথম। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করার পর পুঁজিবাজারে এর প্রভাব পড়ে।
এদিন দক্ষিণ কোরিয়াযর পুঁজিবাজারে বিমানের ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক হানওয়া অ্যারোস্পেসের শেয়ারের দাম ৩ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়। ফাইটার জেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কোরিয়া অ্যারোস্পেসের শেয়ারের দাম বাড়ে প্রায় ৪ শতাংশ। সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন কোম্পানি ভিক্টেক ১১ শতাংশের এরও বেশি দর বেড়েছে।

জাপানের প্রতিরক্ষা, মহাকাশ এবং সামরিক যন্ত্রপাতি উৎপাদনকারী কোম্পানি কোম্পনি মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি।

জাপানি প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য ফ্লেয়ার বোমা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হোসোয়া পাইরো ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ।

মিসাইল উৎক্ষেপনের এ ঘটনায় অনুমান করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়া আগামী দুয়েক মাসের মধ্যে পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালাতে পারে। এতে দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে পারে, তৈরি হতে পারে যুদ্ধের আশংকা। আর সেটি হলে যুদ্ধাস্ত্রের চাহিদা বেড়ে যাবে, বাড়বে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর মুনাফা-এই ধারণা থেকে বিনিয়োগকারীরা আলোচিত কোম্পানিগুলোর শেয়ারে ঝুঁকে পড়ে। তাতেই এসব শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে তরতরিয়ে।

মার্কিন কর্তৃপক্ষ পিয়ংইয়ংয়ের সর্বশেষ পদক্ষেপকে “বেপরোয়া এবং বিপজ্জনক” বলে নিন্দা জানিয়ে বলেছে,এটি “জাপানি জনসাধারণের জন্য অগ্রহণযোগ্য হুমকি।” তারা দেশটিকে আরো “বেআইনি ও অস্থিতিশীল কাজ” করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা উত্তরের সর্বশেষ পদক্ষেপকে ‘বর্বর’ বলে অভিহিত করেছেন ।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল বলেছেন যে তার কার্যালয় এই ধরনের অব্যাহত উস্কানির আলোকে পিয়ংইয়ংয়ের উপর আরো শক্তিশালী নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছে।
স্ট্র্যাটফর সেন্টার ফর অ্যাপ্লায়েড জিওপলিটিক্স এর নির্বাহী পরিচালক রজার বেকারের বলেছেন,উত্তর কোরিয়ার আগামী দুই মাসের ভিতর পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা করতে পারে।সর্বশেষ পদক্ষেপটি সেই সংকেত দিচ্ছে।উত্তর কোরিয়ানরা তাদের পারমাণবিক পরীক্ষার জন্য তাদের টানেল পরিষ্কার করেছে।অক্টোবরের মাঝামাঝি চীনের পার্টি কংগ্রেস এবং নভেম্বরে মার্কিন মধ্যবর্তী নির্বাচনের মধ্যে একটি পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার উপর চীনা পার্টি কংগ্রেসের সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে ।
অর্থসূচক

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.