ইউরোপের রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি

চলতি মাসে রেকর্ড পরিমাণ মুদ্রাস্ফীতির কবলে পড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। একইসঙ্গে আগামী অক্টোবর মাসে ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের (ইসিবি) পক্ষ থেকে সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এরইমধ্যে চলতি মাসে ইউরোপের ১৯টি দেশে ১০ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার ইউরোস্টেটেরস তথ্যের বরাতে এ তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯টি দেশে মুল্যবৃদ্ধির কারণে ইউরোর মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশ বেড়েছে। অথচ ৯.৭ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস ছিল। এর আগের মাস আগস্টে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৯.১ শতাংশ। মাত্র এক বছর আগে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৩.৪ শতাংশের কম।

বাজার বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার বাইরে ছিল এবারের মুদ্রাস্ফীতি। ১৯৯৭ সালে ইউরোর জন্য রেকর্ড-কিপিং শুরু হওয়ার পর থেকে এটি সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি।

রাশিয়া থেকে প্রকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ ঘাটতি এবং করোনা মাহামারি কাঁচামাল এবং যন্ত্রাংশের সরবরাহ বাধার কারণে মুদ্রাস্ফীতিক বৃদ্ধি পাওয়ার আরো একটি কারণ।

মুদ্রাস্ফীতির কারণে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের বাজার অস্থির রয়েছে। সেবা খাত থেকে শিল্পায়ন খাতে মুদ্রাস্ফীতি দিন দিন বেড়েই চলেছে। মুদ্রাস্ফীতির হার ইসিবির জন্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, ইসিবি লক্ষ্যমাত্রার মূল্যবৃদ্ধি দুই শতাংশ বাড়তে পারে। যদিও সংস্থাটি বলছে, অতিরিক্ত চাহিদা এবং আটকে পড়ার শঙ্কা মুদ্রাস্ফীতিকে উসকে দিচ্ছে।

প্রকৃতপক্ষে মূল মুদ্রাস্ফীতি খাবার ও জ্বালানির মূল্যের অস্থিরতা যাচাই এবং ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করেন ইসিবি। সেটি জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃহৎ আকারের হওয়ার পর আরো মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাদ দিয়ে মুদ্রাস্ফীতি ৫.৫ থেকে ৬.১ শতাংশে লাফ দিয়ে উঠেছে। এছাড়া অ্যালকোহল ও টোবাকে ছাড়াই ৪.৩ থেকে ৪.৮ শতাংশে মুদ্রাস্ফীতি বিরাজ করছে।

ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি মোকাবেলা করার জন্য সুদের হার বাড়াচ্ছে।

অর্থসূচক/এএম/এসএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.