যুবরাজ সালমান হলেন সৌদির প্রধানমন্ত্রী  

সৌদি আরবে যুবরাজ সালমানকেই প্রকৃত শাসক বলা হয়। তাকেই প্রধানমন্ত্রী করলেন তার বাবা ও রাজা সালমান বিন আব্দুল আজিজ। মঙ্গলবার ওই রাজকীয় নির্দেশ জারি হয়েছে। রাজকীয় নির্দেশ অনুসারে ৮৬ বছর বয়সি রাজা এখনো মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।

এর আগে তিনি ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। আর যুবরাজ খালিদ ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। এখন যুবরাজ খালিদকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী করা হলো। তার আরেক ছেলে আব্দুল আজিজ বিন সালমান আগের মতোই শক্তিমন্ত্রী আছেন। অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জাদান এবং বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ রাজপরিবারের সদস্য নন। কিন্তু তাদের ওই পদে বহাল রাখা হয়েছে।

সৌদির সরকারি টিভি জানাচ্ছে, রাজা সালমান মঙ্গলবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকেও সভাপতিত্ব করেন। ২০১৫ সালে রাজা ক্ষমতায় বসেছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে খারাপ স্বাস্থ্যের জন্য তাকে একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।

যুবরাজ সালমান সৌদি আরবের জন্য ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনা নিয়ে চলেছেন। তিনি দেশের অর্থনীতি ও পরিকাঠামোর আমূল বদল চান। তিনি শর্তসাপেক্ষে মেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দিতে চান। কিন্তু এই আধুনিকমনস্ক যুবরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিক্ষোভ বরদাস্ত করেন না, সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না। তিনি নাগরিক অধিকার দিতে রাজি নন।

এ ছাড়া সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই কারণে একসময় পশ্চিমা দেশগুলি যুবরাজ সালমানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখত না। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গিয়ে যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস গত সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি সফরে গেছিলেন। তিনিও যুবরাজ সালমানের সঙ্গে কথা বলেছেন। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এএফপি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.