১৪ বছর পর ইসরায়েল-তুরস্কের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক

২০০৮ সালের পর আবারও মুখোমুখি আলোচনায় বসলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী লাপিদ। নিউ ইয়র্কে জতিসংঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলির বৈঠকের সাইডলাইনে এই দুই নেতার বৈঠক হলো। একমাস আগেই দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, বৈঠকে লাপিদ তাদের পুরনো দাবি আবার জানিয়েছেন। সেটা হলো, ২০১৪ সালের যুদ্ধের সময় গাজা ভূখণ্ড থেকে নিখোঁজ দুই সেনা-সহ চারজনকে যেন ইসরায়েলের হাতে তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করে তুরস্ক। তাদের ঘরে ফেরার গুরুত্ব কতটা তা এরদোয়ানকে জানিয়েছেন লাপিদ।

তুরস্ক ন্যাটো সদস্য। তাদের গাজা ভূখণ্ডের প্রকৃত শাসক হামাসের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। এদিকে দুইজন বেসামরিকসহ চারজনকে হামাস আটকে রেখেছে বলে ইসরায়েলের দাবি।

প্রথম মুসলিম প্রধান দেশ হিসাবে তুরস্কই ইসরায়েলকে ১৯৪৯ সালে স্বীকৃতি দিয়েছিল। কিন্তু এরদোয়ানের সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। ২০০৮ সালে শেষবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী তুরস্ক সফর করেছিলেন। তখন দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠকে বসেছিলেন।

২০১০ সালে তুরস্কের একটি জাহাজে ইসরায়েলের হামলায় ১০ জনের মৃত্যুর পর সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। এই জাহাজে করে গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে গত কয়েক মাসে সেই শীতল সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছুটা উন্নতি লক্ষ করা যাচ্ছে। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে দুই দেশ সহযোগিতা করে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুই দেশই রাষ্ট্রদূত নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জাতিসংঘের বৈঠকে এরদোয়ান বলেছেন, পূর্ব জেরুসালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিনকে পৃথক দেশ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হোক। তুরস্ক এখন ইসরায়েলের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। শাস্তি ও স্থায়িত্বের জন্য এটা দরকার। কিন্তু ফিলিস্তিনের মানুষও তাদের আপনজন বলে জানিয়েছেন তিনি। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.