টাকা হারানোর বিষয়ে জানে না বিমান, তদন্ত করছে এপিবিএন

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের দুই খেলোয়াড়ের (কৃষ্ণা ও শামসুন্নাহার) ব্যাগ থেকে ডলার হারানোর বিষয়ে জানে না বলে দাবি করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বিমান জানায়, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তারা তদন্ত করবে ও বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান ফ্লাইট পরিচালনার পাশাপাশি বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ করে। যাত্রীর লাগেজ ফ্লাইট থেকে নিরাপদে ও অক্ষতভাবে লাগেজ বেল্টে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব তাদের। তবে দুই নারী ফুটবলারের অভিযোগের পরেও নিজেদের অবস্থান জানাতে পারছে না তারা।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন জানান, লাগেজের তালা ভেঙে ফুটবলার কৃষ্ণার ৯০০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি ৫০ হাজার টাকা এবং শামসুন্নাহারের ৪০০ ডলার খোয়া গেছে।

এবিষয়ে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, আমি আপনাদের (সাংবাদিক) মুখেই বিষয়টি শুনলান, বিমান কর্তৃপক্ষ আমাকে এখনো কিছু জানায়নি। এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ আসার কথা। অভিযোগ এলে আমরা বিস্তারিত জানতে পারবো।

এদিকে টাকা চুরির ঘটনায় তদন্ত করছে বিমানবন্দরে কর্মরত এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এপিবিএনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সেই ফ্লাইটে অনেক লাগেজ ছিল। কোন লাগেজ থেকে ডলার বা টাকা খোয়া গেছে এবিষয়ে আমাদেরকে জানানো হয়নি। কোনো অভিযোগ করা হয়নি। আমরা সংবাদ দেখে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত করছি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে লাগেজ খুঁজতে ও প্রকৃত ঘটনা জানতে সহজ হবে।

এবিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। এবিষয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য জানাবে।’

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, একজন যাত্রীর লাগেজ ফ্লাইট থেকে নামানোর পর সেই লাগেজ বেল্টে যাওয়ার আগ পর্যন্ত পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় আওতায় থাকে। যদি বাংলাদেশের বিমানবন্দরে লাগেজ কাটা বা চুরির ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তা চিহ্নিত সম্ভব হবে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.