‘বয়োজ্যেষ্ঠদের উন্নত সেবা দেবে জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ রিয়াটারমেন্ট হোমস’

জেরিয়াট্রিক কেয়ার (geriatric care) বা বয়োজ্যেষ্ঠদের সেবাদানের জন্য বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের রিটায়ারমেন্ট হোমস। জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রাজধানীর পূর্বাচলে স্থাপিত হচ্ছে, ‘জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ রিটায়ারমেন্ট হোমস‘ নামের এই প্রতিষ্ঠান। বার্ধক্যের বিভীষিকাময় সময়টাকে যেন সুন্দর করে তুলতে প্রায় ২৫০ টি এপার্টম্যান্ট এবং ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালসহ এই প্রজেক্টে থাকবে বিরতিহীন স্বাস্থ্যসেবা, ফুড, ফিজিওথেরাপি, জিম, স্যুইমিং পুল, বিনোদনের জন্য থিয়েটারসহ নানা ব্যবস্থা।

এছাড়াও থাকবে জেরিয়াটিক বা বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষকে সেবা দান করার জন্য প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত দক্ষ জনবল। জাপানের জেরিয়াটিক কেয়ার হোমসের আদলে গড়ে তোলা এই প্রজেক্টটি নিয়ে এমন সব তথ্যই দিয়েছেন জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশন এবং জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালের চেয়ারম্যান খ্যাতনামা চিকিৎসক ও উদ্যোক্তা প্রফেসর ডাক্তার সরদার এ. নাঈম

সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন অর্থসূচকের সহযোগী সম্পাদক ইসমত আরা ও স্টাফ রিপোর্টার মাসুম রহমান

অর্থসূচক: জাপান বাংলাদেশ ফেন্ডশিপ ফাউন্ডেশনের যাত্রা কবে, কীভাবে শুরু হয়?

ডাক্তার সরদার এ. নাঈম: এই ফান্ডেশনের উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম কি?” এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থসূচক এবং অর্থসূচকের পাঠকদের ধন্যবাদ জানিয়ে ডাক্তার সরদার এ. নাঈম বলেন,

আমি এবং জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ড. জুনায়েদ শফিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে একসাথে পাশ করেছি এবং একসাথেই আমরা জাপানে আলদা আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছি। এদেশে প্রথম ১৯৯১ সালে লেপারোস্কোপিক সার্জারি করি আমি। প্রায় ৩০ বছর আগে আমরাই প্রথম দেশে এই লেপারোস্কোপিক সার্জারি করি। এটি সারাবিশ্বেই শুরু হয়েছে ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সাল নাগাদ। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি টিমের সাথে এ নিয়ে কাজ করার পর আমার স্বপ্ন তৈরি হয় যে বাংলাদেশেও এধরণের কিছু করা যায় কি-না। এই ধরণের সার্জারি দেশে আসলে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের বেশ উপকারে আসবে। আর টেকনোলজি ট্রান্সফারের মাধ্যমে  এই প্রযুক্তি বাংলাদেশে নিয়ে আসতে হলে একটা প্লাটফর্মের প্রয়োজন ছিলো। আর যারা আগের থেকেই পেট কেটে এ ধরণের সার্জারি করিয়ে আসছেন দির্ঘ সময় ধরে বা যে সার্জনরা ইতিমধ্যে এসব সার্জারি করে আসছেন তাদের কাছ থেকে লেপারোস্কোপিক সার্জারির জন্য পেশেন্ট নিয়ে আসা সম্ভব হতো না যদিনা একটা নতুন প্লাটফর্ম তৈরি করা না হতো।

১৯৯১ সালে আমি যখন এদেশে প্রথম বারডেমে এবং পিজি হাসপাতালে সেই বছরের ডিসেম্বর মাসে  ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্কশপের মাধ্যমে দুইটা অপারেশন করি মানুষকে জানানোর জন্য এবং তারপর ১৯৯৩ সালে আমি এবং ড. জুনায়েদ শফিক দেশে ফিরেও আসি।

জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জুনায়েদ শফিক একজন পেইন ক্লিনিক যা এনেস্থেশিয়ার একটা বিশেষ অংশ এবং এনেস্থেশিয়া আবার সার্জারির একটা অংশ। আমাদের সাথে আমাদের আরেক বন্ধু ড. ফয়সাল মুয়াজ্জেমও ছিলেন। আমি ফয়সাল মুয়াজ্জেম দুজনই সার্জারিতে ছিলাম। এবং ড. জুনায়েদ এনেস্থেশিয়া দিতেন। সেভাবেই একটি টিম করে এ দেশে আমরা জাপান বাংলাদেশ ফ্র্যান্ডশিপ হাসপাতাল তৈরি করি। জাপান বাংলাদেশ হাসপাতাল মূলত একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলো, কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নয়।

আমরা তখন সদ্য পিএইচডি শেষ করে ফিরেছি। আমাদের তখন ব্যবসা করার কোন উদ্দেশ্য ছিলো না। কিন্তু আমাদের কাজটা কোথাও না কোথাও করতে হবে। আমাদের যদি কোথাও কাজটা করতে দেয়া না হয় এবং আমরা যদি কাজটা কোথাও করতে না পারি তাহলে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কাজটা আমি শিখেছি তার যদি কোন প্রয়োগ আমি আমার দেশের মানুষের জন্য না করতে পারি তবে সেই শিক্ষাটাই বৃথা।

সেই থেকেই জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯৩ সালে আমাদের এক জাপানিজ বন্ধুর সাহায্যে এই হাসপাতালের যাত্রা শুরু করি আমরা। তবে জাপানিজ সেই ব্যক্তি কোন ডোনেশনে নয় বরং পার্টনার্শিপ ছিলেন আমাদের সাথে। পরবর্তিতে আমরা সেই পার্টনার্শিপ কিনে নিয়েছি।

এটা এখন আমাদেরই হাসপাতাল কিন্তু ডোনেশন করে এনজিও ব্যানারে আমরা করতে চাই নাই। আমরা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে শুরু করেছি। আর এখানের প্রফিট দিয়েই আমরা এটাকে বড় করে তুলছি।

কিছুদিন হাসপাতাল চালানোর পর এসে আমরা বুঝতে পারলাম হাসপাতাল চালানোর জন্য সবথেকে বেশিও প্রয়োজন দক্ষ নার্সের। আর আমাদের দেশে দক্ষ নার্স ছাড়াও হাসপাতালের অন্যান্য বিষয়গুলো পরিচালনার জন্য দক্ষ জনবলের অভাব বোধ করি আমরা। তখন আমরা চিন্তা করলাম শুধু ব্যবসার কথা ভেবে মেডিকেল কলেজ তৈরি না করে আমরা এমন কিছু করি যেটার এখন প্রয়োজন রয়েছে।

আর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য প্রথম শর্ত হলো এটি একটি নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন হতে হবে। যার জন্য আমরা ২০০৮ সালে জাপান বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন তৈরি করলাম।

অর্থসূচক: এই ফাউন্ডেশনের আওতায় কী কী প্রতিষ্ঠান আছে?

ডাক্তার সরদার এ. নাঈম: জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়েছিলো নার্সিং ইন্সটিটিউট দিয়ে। এবং একই সাথে আমাদের মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল বা ম্যাটস দিয়ে। তিনটা নার্সিং ইন্সটিটিউশন। আমাদের একটি এনজিও আছে এ্যাসোসিয়েশন অফ ম্যাডিকেল ডক্টরস অফ এশিয়া যেটা জাপানিজ একটি অর্গানাইজেশন আমরা তার একটি অংশ নিয়ে বাংলাদেশে কাজ করছি।

জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক সংস্থা। আর এই সবগুলো প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে আমরা চিকিৎসা সেবায় দক্ষ জনবল তৈরিতেই আমরা নিজেদের নিয়োজিত করেছি।

অর্থসূচক: জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ রিটায়ারমেন্ট হোমস সম্পর্কে কিছু বলবেন প্লিজ। এই ধরনের প্রতিষ্ঠান স্থাপনের আইডিয়া কীভাবে এলো?

ডাক্তার সরদার এ. নাঈম: জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ রিটায়ারমেন্ট হোম আসলে আমাদের ড্রিম প্রজেক্ট। আমরা যখন জাপানে পড়ালেখা করি তখন আমরা দেখেছি জাপান তাদের বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য ব্যতিক্রম চিন্তা ভাবনা করে। যার কারণে জেরিয়াট্রিক কেয়ার (geriatric care) বা বয়োজ্যেষ্ঠদের সেবার জাপান পৃথিবীতে অনেক এগিয়ে গিয়েছে। আমাদের দেশে এখনো কোন জেরিয়াট্রেশিয়ান নেই। জেরিয়াট্রিক মেডিসিন বা জেরিয়াট্রিক কেয়ার আমরা ডেভেলপ করার চেষ্টা করছি। আমরা জাপানে দেখেছি কতো সুন্দরভাবে তারা বয়োজ্যেষ্ঠদের যাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন হয় তাদের যত্ম নেয়ার জন্য আলাদাভাবে ডেডিকেটেড সুবিধার প্রয়োজন হয়।

কিন্তু আমাদের দেশের মতো দেশে যেখানে শিশুদেরই পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা প্রদাণ করা কঠিন হয়ে যায় সেই দেশে বয়োজ্যেষ্ঠদের কথা ভেবে এমন একটা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা আমাদের পক্ষে সহজ ছিলো না। কিন্তু আমরা যারা এই জেনারেশনের এই দেশ গড়ে তুলছি, আমরা শেষ বয়েসে কোনরকম কোন সাপোর্ট সিস্টেমের মাঝে না থেকেই নিজেকে একেবারে শেষ করে দিবো তা আমরা চাই না।

অর্থসূচক: এই রিটায়ারমেন্ট হোমসের বৈশিষ্ট্য ও সুযোগ-সুবিধা কী কী?

ডাক্তার সরদার এ. নাঈম: জাপানে এই ধরণের প্রোজেক্ট দেখার পর আমাদের মনে হয়েছে এটি বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য এমন একটি প্রজেক্ট যেখানে তাদের বসবাসের উপযোগী একটি যায়গা থাকবে, যেখানে বিরতিহীন স্বাথ্যসেবা থাকবে এবং ফুড, ফিজিওথেরাপি, স্যুইমিং এর ব্যবস্থা থাকবে।

বয়োজ্যেষ্ঠরা এখানে নিজের বয়সের মানুষদের মাঝে ভালো সময় কাটাতে পারবেন।

এছাড়াও এখানে প্রায় ২৫০ টি এপার্টম্যান্ট থাকবে, ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থাকবে এবং আমৃত্যু সেবা এখানে দেয়া হবে সবাইকে যা সারা বিশ্বে হসপিস নামে ব্যপক পরিচিত। বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য এই প্রজেক্টটি এমনভাবে তৈরি করা হবে যেন এখানে কেউ বিছানায় পরে গেলে তার মল পরিষ্কার থেকে শুরু করে যাবতীয় সুবিধা এখানে দেয়া হবে।

আর এই প্রজেক্টে সেবা দানের জন্য জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশনের আওতায় আমরা আরও একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করছি যার নাম জারিয়াটিক কেয়ার গিভার ট্রেইনিং। আর এই ট্রেনিং ছাড়া জেরিয়াটিক বা বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষকে সেবা দান করার মতো দক্ষ কর্মি পাওয়া সম্ভব না। আর জারিয়াটিক কেয়ার গিভার একটি খুব ভালো প্রফেশন হয়ে উঠতে পারে। জাপানে এটি খুব সম্মানীয় পেশা। ইতিমধ্যে আমরা ২০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে জাপানে পাঠিয়েছি জারিয়াটিক কেয়ার গিভার হিসেবে।

মূলত আমরা প্রচলিত বৃদ্ধাশ্রম নীতির বাহিরে এসে বার্ধক্যের বিভীষিকাময় সময়টাকে যেন সুন্দর করে তুলতে পারি আমরা সেই চেষ্ঠায় আছি।

অর্থসূচক: কেউ যদি এই হোমসের একটি ফ্ল্যাট কেনেন বা ভাড়া নেন, তাহলে পরবর্তী সেবাগুলোর জন্য কী করতে হবে বা মাসিক ব্যয় কেমন হতে পারে?

ডাক্তার সরদার এ. নাঈম: আমাদের এখানে মূলত থাকার ব্যবস্থা থাকছে, চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকছে, এখানে সব ধরণের চিকিৎসা থাকবে। ডে কেয়ার সেন্টার সুবিধাও থাকবে। কেউ যদি বাবা মাকে নিজের কাছে রেখেও এখানের সুবিধা নিতে চান তাহলে ডে কেয়ার সুবিধা আছে তাদের জন্য। এধরণের আরও কিছু ব্যতিক্রম সুযোগ সুবিধা এখানে থাকবে।

আমাদের কোম্পানি এটা পরিচালনা করবে। যারা এখানে ফ্ল্যাট কিনবেন তারাও থাকবেন, যারা ভাড়া নিবেন তারাও এখানের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। তারতা নিজেস্ব বাড়ি হিসেবে থাকবেন কিন্তু আমাদের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার জন্য তাদেরকে সেগুলো কিনে নিতে হবে।

তাছাড়া এখানে সকলেই ডাক্তারদের মাঝেই থাকবেন এবং চট-জ্বলদি চিকিৎসা সেবা এখানে আপ্নারা পাবেন। এর জন্য যতোটুকু পে করার ততোটুকুই করতে হবে। অযৌক্তিক কোন খরচের ব্যবস্থা আমরা এখানে তৈরি করবো না।

অর্থসূচক: বাংলাদেশে ক্রমেই প্রবীণ ও বয়ষ্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু সে অনুপাতে তাদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা বাড়ছে কী? বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?

ডাক্তার সরদার এ. নাঈম: একটা ভালো দিক হলো আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বয়োজ্যেষ্ঠ প্রবীণদের বিষয়ে খুবই সচেতন। তিনি ইতিমধ্যে বয়ষ্ক ভাতা থেকে শুরু করে বাবা-মায়ের ভরণপোষণ বিষয়ে আইনও তৈরি করেছেন। কেউ যদি বাবা-মায়ের সেবা যত্ম না করে তবে এখন এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে বাস্তবিক অবস্থায় এইও বিশাল জনগোষ্ঠীর মাঝে তো আর সহজে এটা বের করে আনা সম্ভব না। আর কোন বাবা-মা তার সন্তানের বিরুদ্ধে কোন কমপ্লেনও করেনা।

তাই প্রবীণদের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে সমস্যাগুলোও বাড়ছে। তাই নিম্ন, মধ্য় এবং উচ্চবিত্তের কথা বিবেচনায় বৃদ্ধাশ্রম যেমন দরকার আছে আবার আমরা যে রিটায়ারমেন্ট হোম করছি সেটারও দরকার আছে।

যখন আমি নিজের হাতে কাজ করা বা রান্না করে খাওয়ার মতো অবস্থায় আর থাকবোনা তখন কাউকে না কাউকে প্রয়োজন আমার এই কাজগুলো করে দেয়ার জন্য। যাদের অর্থিক অবস্থা আমাদের রিটায়ার্মেন্ট হোমের সুবিধা নেয়ার মতো তারা এটা কিনবেন আর যাদের সামর্থ নেই তারা ঐরকম কোন একটা পরিবেশে থেকে জীবন-যাপন করবেন।

তবে এখানে সবথেকে বড় বিষয় আপনি আপনার বার্ধক্যের জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নিন। এখন সেই দিন চলে গেছে যে সন্তাঙ্কে বড় করবো ভবিষ্যতে শন্তান আমার সেবা-যত্ম করবে। এখন আর সেই অবস্থা নেই। সব পালটে গেছে।

তাই এই বাস্তবতাকে মেনে বার্ধক্যের জন্য প্রস্তুতি নিন।

অর্থসূচক/এমআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.