‘চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স নানা সূচকে সেরা পাঁচের একটি’

একান্ত সাক্ষাতকারে চার্টার্ড লাইফের এমডি

অর্থসূচকঃ দেশের জীবন বীমা খাতের বর্তমান অবস্থা কেমন? এই ব্যবসার আকার কি বাড়ছে? বাড়লে কি হারে বাড়ছে?
দেশের জীবন বীমা খাতে প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় আছে। প্রতি বছরই গ্রাহক সংখ্যা বাড়ছে।প্রিমিয়াম আয়ের সূচকও উর্ধমুখী। তবে প্রবৃদ্ধির হার আশাব্যঞ্জক নয়। বীমা কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা ও খাত সংশ্লিষ্টদের আরেকটু বেশি প্রবৃদ্ধির আশা।

তবে বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে পেশাদারিত্ব বাড়ছে। দেশের মানুষও বীমার গুরুত্ব বুঝতে শুরু করেছেন। নীতিনির্ধারকরাও আগের চেয়ে ইতিবাচক। তাই আগামী দিনে প্রবৃদ্ধির বাড়বে আশা করা যাচ্ছে।

অর্থসূচকঃ আপনি বলছেন, জীবন বীমার গ্রাহক সংখ্যা সেভাবে বাড়ছে না। এর কারণ কি? আরও বেশি মানুষকে এই খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে কি ধরনের উদ্যোগ দরকার?

জীবন বীমার গ্রাহক সংখ্যা সেভাবে বৃদ্ধি না পাবার প্রধান কারণ হচ্ছে, আমাদের দেশের জনগণের বীমার প্রতি এক ধরণের নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। রয়েছে বিষয় এখানে আস্থাহীনতা। আর এই জিনিসটাই অতীত থেকে হয়ে আসছে। ১৯৭৩ সালে যখন বীমা অধিদপ্তর যাত্রা শুরু করে তখন মাত্র দুটি বীমা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বীমা করা হতো। ১৯৮৫ সালের পরে বীমা খাতে বেসরকারি কোম্পানির ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া হলে পর্যায়ক্রমে বাকী কোম্পানিগুলো ব্যবসায় আসে। তখন বীমা খাতকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত করা হয়। এটা একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো। ২০১৩ সালে অবশেষে বীমা খাতকে অর্থমন্ত্রনালয়ের আওতাভুক্ত করা হয়। এইযে ২০১৩ সাল পর্যন্ত আমাদের কিছু অনিয়ম ঘটে গেছে, সে অনিয়মের কারণে আমাদের আস্থাহীনতার জায়গাটা রয়ে গেছে।
বীমার পেনিট্রেশন রেট তথা জনসংখ্যা অনুপাতে গ্রাহক সংখ্যার হার কম হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে, আমাদের দেশে বীমা করার জন্য কোনো বাধ্য-বাধকতা নেই।বিশ্বের অনেক দেশে কিন্তু বীমা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই তাদের পেনিস্ট্রেশন এত বেশি। বীমাকে বাধ্যতামূলক করা হলে এখানেও পেনিট্রেশন বেশি থাকতো।
বীমা খাতে পেনিস্ট্রেশন বাড়ানোর জন্য একদিকে এই খাতের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে হবে। মানুষের ভুল ধারণা ভাঙ্গানোর জন্য পর্যাপ্ত প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। অন্যদিকে আইনের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে বীমাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। ওই আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
ইতোমধ্যে সরকার প্রবাসীদের জন্য বীমা বাধ্যতামূলক করেছে। এটি একটি ইতিবাচক উদ্যোগ। এ জন্য সরকারকে আমরা ধন্যবাদ দিচ্ছি।কিন্তু এর বাস্তবায়নের বিষয়টিতে আরও মনোযোগ দেওয়া দরকার। কারণ কর্মীরা যখন যখন এয়ারপোর্ট দিয়ে প্রবাসে যাচ্ছে, সেখানে কিন্তু বীমা সংক্রান্ত বিষয় যাচাই করার জন্য কোন চেকলিস্ট নেই। অর্থাৎ এখানে বীমা করতে চাপ প্রদান করা হচ্ছে না।
আইন প্রয়োগের শিথিলতার কারণে বীমা খাতে কাঙ্খিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না। যেমন-শ্রম আইনে বলা আছে, কোনো প্রতিষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি কর্মী থাকলে তাদের জন্য বীমা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এই আইন কার্যকর হচ্ছে কি-না তা দেখার কেউ নেই।
দেশে ৬৮টি ব্যাংক রয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগেরই কোন ধরণের বীমা করা নেই। তারা সেলফ এস্যুরেন্স মডেলে বীমার টাকাটা-ই নিজেদের কাছে রেখে দিচ্ছে। এভাবে রেখে দিয়ে যদি বীম কোম্পানির কাজ ব্যাংক নিজেই করে তবে কি সেই কাজটা সঠিক হলো?

অর্থসূচকঃ আপনি বলছেন, বীমা খাতের প্রবৃদ্ধি আপনাদের প্রত্যাশার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তারপরও তো আমরা দেখছি, নিয়মিত নতুন কোম্পানির লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। এটিকে কীভাবে দেখছেন?
বীমা খাতে আস্থাহীনতার পেছনে নানা কারণ রয়েছে। এর মধ্যে নীতিনির্ধারকদের কিছু ভুল এবং এই খাতটি সম্পর্কে বুঝাপড়ার ঘাটতির মতো বিষয়ও রয়েছে। প্রথমত আমাদের দেশে কোনো বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়াই কোম্পানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।পাশের দেশ ভারতের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি।তাদের জন্য রয়েছে ৫২টি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। কিন্তু মাত্র ১৭ কোটি মানুষের দেশে আমাদের ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ৮১টি।আবার লাইসেন্স দেওয়ার সময় উদ্যোক্তাদের যোগ্যতা, ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা ইত্যাদিকেও বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। দক্ষ জনবল নিশ্চিত করার উদ্যোগেও ঘাটতি ছিল।
বাজারের তুলনায় কোম্পানির সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় অনেক কোম্পানি ব্যবসা পেতে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমেছে। তাতে ভাল কোম্পানিগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু কোম্পানিতে ইচ্ছাকৃত অনিয়ম-দুর্নীতি দুর্নীতি হয়েছে। গ্রাহক প্রিমিয়াম দিয়েছেন। কিন্তু সেটি তার নামে জমা হয়নি। লাইফ ফান্ডের টাকার নয়-ছয় হয়েছে। আবার অনেক কোম্পানি সঠিক পরিকল্পনা অনুসারে পরিচালিত না হওয়ায় বীমা দাবি পরিশোধের সক্ষমতা হারিয়েছে। মাত্র কয়েকটি কোম্পানি এই দাবী পরিশোধ করতে পারছে না। কিন্তু দায়ভার চাপছে পুরো বীমা খাতের উপর। নষ্ট হচ্ছে আস্থা। তাতে ভাল কোম্পানিগুলোকে অনেক বেশী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে।

অর্থসূচক: শুরুতে আপনি, বীমা খাতের সম্ভাবনার কথা বলছিলেন। এত চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আপনি এমন সম্ভাবনা দেখছেন কীভাবে?
আমি যে সম্ভাবনার কথা বলেছি, তার যথেষ্ট বাস্ততা আছে। আমাদের দেশে ১৮ কোটি মানুষ আছে। এই ১৮ কোটি মানুষকে যদি আমরা বীমার আওতায় নিয়ে আসতে পারি, তাহলে দিনে যদি ১ টাকা প্রিমিয়াম আসে তাহলে শুধু জীবন বীমা খাত থেকে নতুন প্রিমিয়াম হিসেবেই বছরে ৬ হাজার কোটি টাকা যুক্ত হবার সুযোগ আছে। এভাবে হলে ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়াটা বাঞ্ছনীয়।

দেশে ১৮ লাখ সরকারী কর্মকর্তা রয়েছে। কিন্তু তাদের বড় একটা অংশের জীবন বীমা নেই। আবার যাদের আছেও, তাদের অনেকটাই কিভাবে আছে তা বলা যাচ্ছে না। যদি বলা হয় যে সরকারী সকল কর্মকর্তার জীবন বীমা বাধ্যতামূলক, তাহলে একদিনের সিদ্ধান্তে প্রায় ১৮ লাখ মানুষকে জীবন বীমার আওতায় আনা সম্ভব।
আরএমজি সেক্টরে ৪২ লাখ শ্রমিক কাজ করছে । কিন্তু গার্মেন্টস সেক্টরের এত উন্নতির পরেও শ্রমিকদের বীমা নেই। আজ সরকার যদি বলেন যে তাদের জন্য ইনস্যুরেন্স বাধ্যতামূলক। তাহলে একদিনের সিদ্ধান্তেই প্রায় ৪২ লাখ শ্রমিককে বীমার আওতায় আনা যাবে।
দেশে ১০ কোটি মোবাইল গ্রাহক আছেন। সরকার যদি বলে মাসে একটাকা করে প্রিমিয়াম নিবে বা মাসে ১০ টাকা করে নিবে। তাহলে বছরে আপনি ১২০ টাকা প্রিমিয়াম পাচ্ছেন। ১০ কোটি গ্রাহককে ইন্স্যুরেন্সের আওতায় নিয়ে আসতে পারছেন।
অর্থসূচকঃ একজন মানুষ জীবন বীমার পলিসি কেন নেবে? ব্যক্তির জীবনে এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু? কিভাবে সে লাভবান হতে পারে?
আমাদের দেশে যারা চাকরী করেন বা ব্যবসা করেন তাদের অনেকেই ব্যক্তি হিসেবে জানেন না ভবিষ্যতে কি করণীয়। ক্যারিয়ারের শুরুতেই অনেকে মনে করেন যে আমার কিছু সঞ্চয় করা দরকার। তখন তারা ছোট ছোট সঞ্চয় করেন কিংবা ব্যাংকে ডিপিএস করেন বা বড় সঞ্চয় করলে এফডিআর করেন কিংবা সঞ্চয় পত্র ক্রয় করেন। কেউ জমি কিনেন বা ভবন নির্মান করেন। এরপর আরেকটা অপশন থাকে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ করে দ্রুত কিছ টাকা আয় করা। কিন্তু কখনই বীমা করার কথাটা তাদের মাথায় আসেনা। কিন্তু আপনি যদি উন্নত বিশ্বের কথা চিন্তা করেন সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে গেলেও বীমা করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্রেডিটের সাথে বীমা বাধ্যতামূলক থাকে। তাই সেই দেশের নাগরীকদের খুব অল্প বয়স থেকেই বীমা একটা অভ্যাসে পরিণত হয়। তখন সে তার যাবতীয় সকল কাজে বীমাকে প্রয়োজনীয় মনে করে। কিন্তু আমাদের দেশে আমরা একটা ক্রেডিট কার্ড নিয়ে নিজেকে অনেককিছু মনে করি। কিন্তু ক্রেডিট কার্ড যে আমাদের দায়বদ্ধতা তৈরি করছে তা আমাদের মাথায় নেই। বীমা এক্ষেত্রে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এসব দিক দিয়ে আমরা ব্যার্থ, কারণ আমরা এই মৌলিক যায়গা গুলো আমাদের দেশের মানুষকে বোঝাতে পারিনি।
মানুষ মনে করে মারা গেলে ইনস্যুরেন্স বেনিফিটেড হবে। আসলে তা নয়। আমরা জীবন বীমা বলতে জীবনের বীমার কথা বলছি। বেঁচে থাকতেই আপনি এর দ্বারা বেনিফিটেড হবেন।
অর্থসূচকঃ চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিশেষত্ব কী? দেশে ৩৫টি জীবন বীমা কোম্পানি আছে। এত কোম্পানি রেখে মানুষ চার্টার্ড লাইফে পলিসি খুলবে কেন?
আমাদের পরিচালকমণ্ডলির সদস্য যারা আছেন তারা সবাই নিজেদের সকল ব্যবসায় সফল। এটা আমাদের সৌভাগ্য যে, এতোগুলো ভালো মানুষ আমাদের পরিচালনা পর্ষদে আছেন।
বাংলাদেশে বীমা খাতের দুটো লিডিং কোম্পানি আছে। একটি জীবন বীমা কর্পোরেশন এবং অন্যটি হচ্ছে মেটলাইফ।এখানে আমরাই হচ্ছি দেশের একমাত্র বীমা প্রতিষ্ঠান যারা একটা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিকে অনুসরণ করে কাজ করে চলেছি। সেই কারণে আমাদের কমপ্লায়েন্স আমাদের সার্ভিস একটা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানির মতো। তাছাড়া আমরা দ্রুত ক্লেইম স্যাটেল করছি। আইডিআরএ’র সূচকে কমপ্লায়েন্স, ব্র্যান্ড ভ্যালু এবং ক্লেইম সেবার দিক দিয়ে সেরা পাঁচের মাঝে অবস্থান করছি। এসবের বাইরেও আমাদের ডিজিটালাইজেশনের বিষয়টির দিকে সব থেকে বেশি মনোযোগ দেয়া হয়েছে। করোনার সময়েও আমরা বিরতিহীন সেবা দিয়ে গিয়েছি। পলিসি হওয়া মাত্রই আমাদের গ্রাহকদের কাছে ওয়েলকাম কল গিয়েছে। একজন গ্রাহক আমাদের চার্টার্ড প্রিয়জন অ্যাপসের মাধ্যমে সে তার পলিসি রেকর্ড দেখতে পাচ্ছেন। সে কবে টাকা জমা দিয়েছে সাথা সাথে এসএমএস পাচ্ছে। এইযে আমাদের সচ্ছতার যায়গাটা পাশাপাশি আমাদের প্রোডাক্ট ডাইভার্সি। আমরা প্রতি মুহুর্তে নতুন নতুন প্রোডাক্ট উদ্ভাবনের চেষ্টা করছি। সামনে আমাদের আরও নতুন এবং ইউনিক কিছু প্রোডাক্ট আসবে।

অর্থসূচকঃ বর্তমানে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কি কি প্রোডাক্ট রয়েছে? এসব প্রোডাক্টের বিশেষত্ব কি?
বর্তমানে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রোডাক্টগুলো হচ্ছে- মেয়াদী বীমা, ক্ষুদ্র সঞ্চয়ী বীমা, পেনশন বীমা, মানিব্যাক ইত্যাদী। এছাড়াও আমরা স্বাস্থ্য বিমা, টার্ম ইনস্যুরেন্স, চার্টার্ড নিরাপত্তা, গ্রুপ এসএমই, ইসলামিক উইং চার্টার্ড আল বারাকা সহ সামনে কিছু হেলথ ইনস্যুরেন্স প্রোডাক্ট আমরা নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। প্রোডাক্ট ডাইভার্সিটির মাধ্যমে আমরা আমাদের গ্রাহকদের প্রয়োজনের কথা ভেবে যে ধরণের বীমা তারা চাচ্ছেন সে ধরণের বীমা নিয়ে মার্কেটে আসছি।
অর্থসূচকঃ বর্তমানে আপনাদের লাইফফান্ডের পরিমাণ কত? বছরে কী পরিমাণ প্রিমিয়াম পাচ্ছেন আপনারা? প্রিমিয়াম আয়ের প্রবৃদ্ধি কেমন?
বর্তমানে আমাদের লাইফ ফান্ডের পরিমাণ (জুন ২০২২) ৪০ কোটি টাকার উপরে। গত বছর এটা ছিলো ৩৫ কোটি ৬২ লাখ টাকার মতো। আমাদের এ বছর ৬০ কোটি টাকা লাইফ ফান্ডে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০১৯ সালের শুরুতে আমাদের প্রিমিয়াম ছিলো ১ কোটি টাকা। সেটা আমাদের এখন প্রতি মাসে ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা প্রিমিয়াম আসছে। গত ২ বছরে আমাদের প্রিমিয়ামের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭০ শতাংশ।
অর্থসূচকঃ চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এই টাকা কোথায় বিনিয়োগ করা হবে? কোম্পানি এর মাধ্যমে কতটুকু লাভবান হতে পারে?
টাকাগুলো আমরা কোথায় বিনিয়োগ করবো তা আইনে বলা আছে। আমাদের সম্পদের ৩০ শতাংশ ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করতে হয় এবং ২০ ভাগ বিনিয়োগ করতে হয় পুঁজিবাজারে। আমরা এই আইন মেনে চলছি এবং ১৫ কোটি টাকা আসলেও আমরা এই আইন মেনেই কাজ করবো।
আইপিওর মাধ্যমে যে টাকা আসবে, তাতে অবশ্যই কোম্পানি লাভবান হবে। এতে কোম্পানির মূলধন ভিত্তি আরও শক্ত হবে, পাশাপাশি স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহীতার জায়গা বাড়বে। আমাদের ইক্যুইটি হচ্ছে সাড়ে ২২ কোটি টাকা। এখন আমার সম্পদ হচ্ছে প্রায় ৬২ কোটি টাকা। সেই জায়গায় যখন আবার নতুন করে এই ১৫ কোটি টাকা আসবে এবং তা বিনিয়োগ করে সম্পদ এবং আয় দুটোই বাড়ানোর সুযোগ পাবো।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.