সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে, অস্বীকার করার কিছু নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘বিশ্বজুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে আমাদের দেশেও। ফলে সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে, সেটা অস্বীকার করার কিছু নেই। মানুষের কষ্ট বেড়েছে, সেই কষ্ট যাতে না থাকে সেজন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’

রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোড এলাকায় নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

টিপু মুনশি বলেন, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমেছে, কিন্তু বাংলাদেশে ডলারের দাম অনেক বেশি বেড়েছে। আমরা আশা করেছিলাম বিশ্ব বাজারে দাম কমে যাওয়ায় ভোজ্যতেলের দাম আমাদের দেশে কমবে। তেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ট্যারিফ কমিশন বসে ডলারের দাম বৃদ্ধির ফলে কী প্রভাব পড়বে, সেটা নিয়ে আলোচনা করে দাম বাড়া-কমার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দেশ থেকে যদি ডলার পাচার হয়ে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমাদের ডলার সংকটের কারণে সারা পৃথিবী জুড়ে ডলারের দাম বেড়েছে তা আমরা বলতে পারি না। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তানেও ডলারের দাম বেড়েছে। আমরা সবাই বৈশ্বিক পরিস্থিতির শিকার। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ হওয়াই এখন আমাদের কাম্য।

দেশের মানুষ বেহেশতে আছে- পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি যা বলেছেন তা আমার কনসার্ন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়লে মানুষের তো কষ্ট হবেই। আর বেহেশত বা দোজখ সেটা জীবিত অবস্থায় বোঝা যায় না, মরলে বোঝা যায়।’

বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হবে- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের এমন মন্তব্যের বিষয়ে টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হবে, এটা রাজনৈতিক বক্তব্য। বাংলাদেশ এখনও শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের চেয়ে অনেক ভালো। ফলে সেদিকে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। কিন্তু মানুষকে কষ্ট দিয়ে আন্দোলনের নামে প্রতিহিংসাত্মক কিছু করলে তখন দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। জাতীয় পার্টি, বিএনপি ক্ষমতায় ছিল তাদের আচারণও গণতান্ত্রিক হওয়া উচিত। তাহলে দেশে গণতান্ত্রিক চর্চাটা অব্যহত থাকবে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.