পুলিশ কি আঙুল চুষবে: প্রশ্ন কাদেরের

ভোলায় পুলিশের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভিডিও ফুটেজ দেখলে বোঝা যাবে কারা অস্ত্র দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। হামলা করলে পুলিশ কি আঙুল চুষবে- প্রশ্ন করেন তিনি।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো পর এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভোলার ঘটনা কে ঘটিয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখুন। কীভাবে ঘটেছে, কারা আক্রমণ করেছে, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কারা মিছিল করেছে, কারা সেই অস্ত্র দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ কি করবে? আঙ্গুল চুষবে? ভোলায় বিএনপির ঘাতক চেহারা স্পষ্ট হয়েছে। তারা চেয়েছে নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও অস্থির, উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে। আগুন সন্ত্রাস করে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করতে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে।

তিনি বলেন, আগস্ট মাস এলেই বিএনপির ঘাতক চরিত্র বেপরোয়া হয়ে উঠে। এই মাসে দলটি সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পায়।আওয়ামী লীগ প্রস্তুত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, সারা দেশে লোডশেডিং ও জ্বালানি অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ৩১ জুলাই ভোলায় আয়োজিত বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বাধা দেয় পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। ওই ঘটনায় পুলিশ ছাড়াও বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আবদুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী নিহত হন। একই ঘটনায় গত বুধবার বিকেলে মারা যান জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম।

কাদের বলেন, শেখ কামালের জন্মদিনে আবাহনী মাঠে ও বনানী কবরস্থানে এত মানুষ, এত তরুণের সমাবেশ। এতে প্রমাণ হয়, আমরা প্রস্তুত। হত্যা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি আমরা রুখবই। এটা আমাদের শপথ। জন্মদিনের আনন্দ হারিয়ে গেছে পঁচাত্তরের রক্তাক্ত বিদায়ের মাধ্যমে। শহীদ শেখ কামালের কাছে বাংলাদেশের তরুণ সমাজের অনেক কিছু শেখার আছে। বহুমাত্রিক প্রতিভা ও মেধার অধিকারী ছিলেন।

তিনি বলেন, ক্রীড়াঙ্গনে ক্রিকেট ও ফুটবল, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে প্রতিদিন দেখা যেত শেখ কামালকে। আবার মধুর ক্যান্টিনে এসে ছাত্রলীগ সংগঠন করতেন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল হতে পারেন দেশের তরুণ সমাজের কাছে রোল মডেল।

বনানী কবরস্থানে দলীয় নেতাদের নিয়ে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা জানান ওবায়দুল কাদের। পরে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

পরে বনানী কবরস্থান মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.