সূচক ও লেনদেনে নাটকীয় উত্থান

টানা কয়েক সপ্তাহের দরপতনের পর সূচকের নাটকীয় উত্থান ঘটেছে পুঁজিবাজারের মূল্যসূচকে। গত সপ্তাহে স্টক এক্সচেঞ্জের সব মূল্যসূচক বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

বাজারের এই বাঁকবদল ছিল মূলত নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর হস্তক্ষেপের ফল। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে ছড়িয়ে পড়া অযৌক্তিক আতঙ্কের প্রেক্ষিতে বাজারে অস্বাভাবিক পতন (Free Fall) শুরু হলে গত ২৮ জুলাই বিএসইসি ফ্লোরপ্রাইস ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়, যা ৩১ জুলাই কার্যকর হয়। এতে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্ক কিছুটা কমে আসে। পরিস্থিতি যা-ই হোক, শেয়ারের দাম আর কমতে পারবে না, আর এ কারণে বেশি লোকসানের আশংকা নেই-এই বাস্তবতায় বাজারে তাদের সক্রিয়তা বাড়ে। সূচক ও লেনদেনে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৮৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৭৩টি দাম বেড়েছে, যা লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর ৯৬শতাংশ। এ সময়ে ডিএসইতে ৭টি তথা ২ শতাংশ কোম্পানি শেয়ারের দর হারিয়েছে। আলোচিত সপ্তাহে ৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।

গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৩১ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বেড়েছে। আগের সপ্তাহে তা ১৪৬ দশমিক ০১ পয়েন্ট কমেছিল। সপ্তাহের প্রথম দিনে এই সূচকের অবস্থান ছিল ৫ হাজার ৯৮০ দশমিক ৫১ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে তা ৬ হাজার ৩১২ দশমিক ০১ পয়েন্টে উঠে আসে।

গত সপ্তাহে বাজারমূলধনে শীর্ষ ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ১১৯ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট বেড়েছে। সূচকটি আগের সপ্তাহে ৫৫ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট কমেছিল।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে গড়ে দৈনিক এক হাজার ১১ কোটি ৭২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৬৩৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সপ্তাহে ব্যবধানে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ৩৮০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বা ৫৯ দশমিক ৬২ শতাংশ।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.