মার্কিন ড্রোন হামলায় আল কায়েদার শীর্ষ নেতা নিহত

আফগানিস্তানে মার্কিন বিমান হামলায় আল-কায়েদা নেটওয়ার্কের প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শিগগিরই এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন বলে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোশিয়েটেড প্রেস (এপি) এবং মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে চালানো এক ড্রোন হামলায় জাওয়াহিরি নিহত হয়েছেন।

হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রোববার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে আল-কায়েদার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে সন্ত্রাস বিরোধী একটি সফল অভিযান পরিচালনা করেছে এবং এতে আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হয়েছেন। এতে কোনো বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হননি বলে ওই কর্মকর্তা দাবি করেন।

হোয়াইট হাউজের এ ঘোষণার এক ঘণ্টা আগে তালেবান সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, কাবুলে পাইলটবিহীন বিমান বা ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিহউল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেন, রোববার কাবুলের শেরপুর এলাকার একটি বাড়িতে ড্রোন হামলা হয়। যে কারণেই এ হামলা চালানো হয়ে থাক না কেন তা আন্তর্জাতিক আইন ও দোহা চুক্তির লঙ্ঘন এবং কাবুলে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার টুইন টাওয়ারে হামলার পর বিশ্ববাসী প্রথম ব্যাপকভাবে জানতে পারে যে, আল-কায়েদা নামের একটি সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের অস্তিত্ব আছে এবং তার প্রধান বিন-লাদেন। এরপর ২০১১ সালে বিশ্ববাসী আবার জানতে পারে, পাকিস্তানে মার্কিন অভিযানে আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হয়েছেন।

ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর ২০১১ সালের ১৬ জুন আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে আল-কায়েদার নতুন নেতা হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। মার্কিন গণমাধ্যম দাবি করেন, ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন জাওয়াহিরি। তাকে ধরিয়ে দিতে আমেরিকা ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.