মুদ্রাবাজার অস্থিরতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক

ডলারের দাম বাড়িয়ে যেসব মানি চেঞ্জার ও ব্যাংক অতিরিক্ত মুনাফা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরের সাথে এফবিসিসিআইয়ের বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম একথা জানান।

এদিকে, বৈঠকে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার অস্থিরতার পেছনে যেসব ব্যবসায়ী ও ব্যাংক দায়ী তাদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। সৌজন্য সাক্ষাত শেষে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন একথা জানিয়েছেন।

এফবিসিসিআইয়ের ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল আজ গভর্নরের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। এ সময় ঋণ পুনঃতফসিলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত যেন সমান সুযোগ পায় সে বিষয়েও সুযোগ চায় এফবিসিসিআই। ঋণের সুদহার সীমা তুলে না দেয়ারও দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সুদহারের একক সীমা তুলে নিলে বিনিয়োগ আরো কমে যেতে পারে।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমরা একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে আছি। এটা ওভারকাম করতে পারলে সবকিছু স্বাভাবিক হবে। এমন অবস্থায় সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা দরকার।

গরীব মরে অভাবে আর বড়লোক মারে হাহুতাশে, বাংলাদেশের এখন সেই অবস্থা বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, অর্থনীতি নিয়ে যে আতঙ্ক তা অমূলক। বড় ধরনের কোনো সংকটের আশঙ্কা নেই। আমাদের রিজার্ভ ভালো আছে। অনেক উন্নত দেশ থেকে অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক মজবুত আছে। ডলারের দাম বাড়ার কারণে এলসি খুলতে সমস্যা হয়। এজন্য ব্যাংকগুলো যেন সজাগ দৃষ্টি রাখে।

গ্ৰুপ ঋণের ক্ষেত্রে তাদের দাবি ছিল, গ্রুপের কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের ঋণ যদি খেলাপি হয়ে যায় তবে পুরো গ্রুপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক্ষেত্রে যে প্রতিষ্ঠান খেলাপি হবে সেটাকে আলাদা করা যায় কিনা। কিন্তু গভর্নর এ প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। গভর্নর বলেছেন, গ্রুপের কোনো প্রতিষ্ঠান খারাপের দিকে যাওয়ার আগেই যেন আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম করা যায় সেই পদক্ষেপ নিতে হবে।

ডলারের দাম চড়া করে যেসব মানিচেঞ্জার ও ব্যাংকগুলো মুনাফা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ডলার বাজার স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। এ কাজে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। ডলারের দাম চড়া করে যেসব মানিচেঞ্জার ও ব্যাংকগুলো মুনাফা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। জড়িতদের চিহ্নিত করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। অনিয়মের প্রমাণ পেলে প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিলও করা হবে।

অর্থসূচক/এএইচআর/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.