মহামন্দার কিনারাতে জার্মানি

বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংকটে মহামন্দার কিনারায় চলে এসেছে জার্মানি। দু’বছরে দেশটির ব্যবসায়িক পরিবেশ তলানিতে নেমে এসেছে। আগামী মাসগুলোতেও এই পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে। সোমবার (২৫ জুলাই) এ খবর নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ও দ্য টেলিগ্রাফ।

জার্মানির এক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএফও (IFO) জানায়, বিদ্যুৎ শক্তির বর্ধিত মূল্য ও জ্বালানি (গ্যাস) সংকটের বোঝা ক্রমেই বাড়ছে। এই অবস্থায় বিশেষ করে রফতানিমুখী কোম্পানিগুলো আসন্ন মাসগুলোতে ব্যবসায়িক মানের অবনতি হতে পারে বলে মনে করছেন।

গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত ডাটা চিত্রে দেখা যায়, চলতি মাসে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থার মানদণ্ড কমে ৯৭.৭ শতাংশে নেমে এসেছে, যা জুনে ছিল ৯৯.৪ শতাংশ। এই মানদণ্ড কমে ৮৫.৫ থেকে ৮০.৩ শতাংশে নেমে আসতে পারে।

অপরদিকে,ব্যবসায়িক আবহ মানদণ্ডেরও অবনতি হয়েছে। জুলাইয়ে (২০২২) সূচক পড়ে ৮৮.৬ শতাংশ নেমে এসেছে যা জুনে (২০২২) ছিল ৯২.২ শতাংশ। সেই সঙ্গে ব্যবসায়িদের প্রত্যাশারও অবনতি হয়েছে। এবছর জুনে মানদণ্ড সূচক ৮৫.৫ থাকলেও জুলাইয়ে এসে সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ৮০.৩ শতাংশে। এই তথ্যানুসারে ব্যবসায়িদের মধ্যে হতাশার মাত্রা বেড়েছে।

এছাড়া, রাশিয়ার কাছ থেকে গ্যাস আমদানি কমাতে সদস্য দেশগুলোকে গ্যাসের ব্যবহার কমানোর নির্দেশ দিয়েছে ইউরোপ। তবে এটা ঐচ্ছিক। কিন্তু পরিস্থিতির অবনতি হলে এটা বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এদিন সকালে ডলারের বিপরীতে দর হারিয়েছে যুক্তরাজ্যের মুদ্রা পাউন্ড। মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকায় দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর (সিবিআই) জানিয়েছে বাজার ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ীরা তাদের মনোবল হারাচ্ছে। আর এটার একটা চাপ পড়েছে পাউন্ডে।

অপরদিকে, যুক্তরাজ্যের নির্বাচন ইস্যুতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঋষি সুনাক চীনকে ব্রিটেনের জন্য একমাত্র হুমকি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। এই সময় তিনি বলেন, ব্রিটেনের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে চীন। সেই সঙ্গে চীন এই শতাব্দিতে গোটা বিশ্বের জন্যও হুমকিস্বরূপ।

এই সময় নির্বাচনের দৌড়ে এগিয়ে থাকতে ঋষি সুনাক চীন ঠেকাতে তার কৌশলের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেন। তবে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি লিজ ট্রুজ দলের ভোটে এগিয়ে রয়েছে।

অর্থসূচক/এইচডি/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.