ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া আর নেই

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা ৪টার দিকে মৃত্যু হয় তাঁর।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। প্রায় ৯ মাস ধরে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের এই সংসদ সদস্য দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। ২০২১ সালের জুন মাসে পেটে টিউমার অপারেশন করা হলে তিনি পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় নানা জটিলতা দেখা দেয়। পরে ওই বছরের আগস্ট মাসে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভারত নেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে তাকে আমেরিকার মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডেপুটি স্পিকার মৃত্যুকালে তিন মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে তার ভাতিজা ফাহাদ রাব্বী সৈকত লিখেন, ‘আজ ২৩/০৭/২০২২ ইং বাংলাদেশ সময় আনুমানিক রাত ২টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া ইন্তেকাল করেছেন। বিষয়টি আমি ফাহাদ রাব্বী সৈকত আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করছি।’

ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফয়জার রহমান এবং মাতার নাম হামিদুন নেছা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফজলে রাব্বী মিয়া মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। তিনি ১১নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তুলতে তিনি কাজ করেছেন।

ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালে চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালে ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হন। ২০০৮ সালে নবম, ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

পেশায় আইনজীবী ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৮৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হন। ১৯৯০ সালে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। দশম সংসদ থেকে তিনি ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.