৫ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৫ হাজার কোটি টাকা

পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে গত পাঁচ দিনেই প্রবাসীরা ৫৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ পাঁচ হাজার কোটি টাকারও বেশি। শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরের (২০২২-২৩) প্রথম পাঁচদিনেই প্রবাসী আয়ে জোয়ার দেখা যাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যমতে, কোরবানির ঈদ বা ঈদুল আজহার আগে প্রবাসীরা দুহাত ভরে পাঠাচ্ছেন তাদের উপার্জন। চলতি জুলাই মাসের প্রথম পাঁচদিনে ৫৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ঈদের আগে দেশে থাকা স্বজনরা যেন একটু ভালো করে ঈদ উদযাপন করতে পারেন, কোরবানির পশু কিনতে পারেন, সেজন্য প্রতিবছর ঈদের আগেই রেমিট্যান্স আসে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রেমিট্যান্স আসার যে গতি, তা খুবই ইতিবাচক। সাধারণত প্রতি ঈদের আগেই রেমিট্যান্স বাড়ে। তবে এবারের রেমিট্যান্স আসার হার একটু বেশি। ঈদের দুদিন বাকি। এ দুদিনে আরও বেশি রেমিট্যান্স আসবে বলে আশা করছি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি জুলাই মাসের প্রথম ৫ দিনে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে।

রেমিট্যান্সের প্রবাহ চাঙ্গা হওয়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তারা বলেছেন প্রতি ঈদের আগেই রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়ে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মে মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিলো ১৮৮ কোটি ৫৪ লাখ ডলার। অথচ জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮৩ কোটি ৭২ লাখ ডলার। অর্থাৎ মে মাসের তুলনায় জুনে রেমিট্যান্স কমেছে ৫ কোটি ডলার।

২০২০-২১ অর্থবছরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্সের উল্লম্ফন ছিল। ওই অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের ১২ মাসের মধ্যে সাত মাসেই ২০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে। গত ছয়মাসে আরও ১০ লাখের মতো শ্রমিক বিদেশে গেছেন। তাদের পাঠানো আয় অচিরেই রেমিট্যান্সের খাতে যোগ হবে। ফলে বাড়বে রেমিট্যান্স।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.