ভারতকে হারিয়ে ইংল্যান্ডের ইতিহাস গড়া জয়

‘(লক্ষ্য) যা-ই দেয়া হোক, আমরা তাড়া করব’- তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বলেছিলেন জনি বেয়ারস্টো। কথা রেখেছেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে ৩৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতে ইতিহাস গড়েছে ইংলিশরা। ভারতকে তারা ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে। এর ফলে সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র হয়েছে।

এই ম্যাচের আগে ৩৫৯ রানের বেশি তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল না ইংল্যান্ডের। ফলে এজবাস্টনে জিততে হলে ইতিহাস গড়তেই হতো। এর আগে ২০১৯ সালে হেডিংলিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৫৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বেন স্টোকসের দারুণ এক সেঞ্চুরিতে ১ উইকেটে জিতেছিল ইংল্যান্ড।

এবার সেই রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে স্টোকসের দল। ভারতের এই পাহাড় সমান রান সফলভাবে ইংল্যান্ড তাড়া করায় অবাক হওয়ার অবশ্য কিছু নেই। কারণ এর আগে টানা তিন টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে ২৫০ রানের বেশি রান তাড়া করে জিতেছে। চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করতে নেমে কখনও ওয়ানডে বা কখনও টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করে জয়গুলো তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড।

ভারতের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ইংল্যান্ড ৩ উইকেটে ২৫৯ রান নিয়ে পঞ্চম দিন শুরু করেছিল। জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ১১৯ রান। শেষ দিনের প্রথম সেশনে আর কোনো বিপদ হতে দেননি ইংলিশ ব্যাটাররা। ৭২ রানে অপরাজিত থাকা বেয়ারস্টো ১৪৫ বলে ১১৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন শেষ পর্যন্ত। আর জো রুট অপরাজিত ছিলেন ১৪২ রান নিয়ে। আগের দিনই ইংল্যান্ডের এই দুই ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন। রুট তার সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে খেলেছেন ১৩৬ বল। আর বেয়ারস্টোর লেগেছে ১৩৮ বল।

এই দুজনের চতুর্থ উইকেটের জুটি অবিচ্ছিন্ন ছিল ২৬৯ রানে। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে চতুর্থ উইকেটে এতো রানের জুটি নেই আর একটিও। ইংল্যান্ডের এই জয় আবারও প্রমাণ করলো মানসিকতা বদলে টেস্টে যে কোনো লক্ষ্যই তাড়া করা যায়।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.