প্রেসক্লাবে নিজের গায়ে আগুন দেওয়া ব্যক্তি মারা গেছেন

রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিজের গায়ে আগুন দেওয়া কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ঠিকাদার গাজী আনিস মারা গেছেন। কাজী আনিস কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হঠাৎ করেই গাজী আনিস নিজের গায়ে আগুন জ্বালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশের সহযোগিতায় দ্রুত তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

আনিসের ঘনিষ্ঠজন মোহাম্মদ আলী জানান, আনিস একজন ব্যবসায়ী। পাওনা টাকা না পেয়ে তিনি গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। দুই মাস আগেও তিনি পাওনা টাকার দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছিলেন। এরপর বিভিন্ন জায়গায় গেলেও সহায়তা না পেয়ে আজ তিনি এ ঘটনা ঘটান।

হাসপাতালে নেওয়ার সময় তাকে উদ্ধারকারী সাংবাদিকরা বলেছেন, তিনি হেনোলাক্স কোম্পানির কাছ থেকে এক কোটি ২৬ লাখ টাকা পাবেন। ওই কোম্পানি পাওনা টাকা দিচ্ছে না। এ নিয়ে গত চার মাস আগে তিনি মানববন্ধনও করেছেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

আনিসের ভাই নজরুল ইসলাম জানান, তাদের বাবার নাম মৃত ইব্রাহীম হোসেন বিশ্বাস। ৯১-৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তার স্ত্রী স্বপ্না। ৩ মেয়ের জনক তিনি। ব্যবসার পাশাপাশি চাকরিও করতেন তিনি। ওই কোম্পানির কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পান। এজন্য কয়েক দফায় সংবাদ সম্মেলনও করেছেন। কিন্তু টাকা না পাওয়ায় তিনি আজ এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.