এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায়, ৪ কিলোমিটার যানজট

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে (ঢাকা-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ে) টোল আদায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দিনগত রাত ১২টা ১মিনিট থেকে টোল পরিশোধের মাধ্যমে এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করছে যানবাহন।

৫৫ কিলোমিটার সড়কের ছয়টি জায়গায় টোল আদায়ের পরিকল্পনা থাকলেও প্রথমদিনে কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী ও ভাঙা অংশে মোট দুটিতে টোল নেওয়া হচ্ছে। ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় মোটরসাইকেলে সর্বনিম্ন ২০টাকা থেকে পণ্যবাহী বড়যানে সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৫টাকা টোল আদায় হচ্ছে। টোল আদায় করছে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন (কেইসি)।

এদিকে প্রথমদিনে টোল আদায়কে কেন্দ্র করে কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী এলাকায় দেখা দিয়েছে দীর্ঘ যানজট। সকাল থেকে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় গাড়ি এগোচ্ছে ধীর গতিতে। এতে টোল দিতে ব্যক্তিগত, পণ্যবাহী ও গণপরিবহনকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ।

এদিকে মহাসড়কে এরআগে তিনটি সেতুর (পোস্তগোলা, ধলেশ্বরী ও আড়িয়াল খাঁ) টোল আদায় কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। এখন শুধু এক্সপ্রেসওয়েতে টোল দিয়ে চলতে পারবে গাড়ি।

প্রথমদিনে নানা কারণেই সময় বেশি লাগছে বলে জানান মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাহিন রেজা। তিনি বলেন, অচিরেই দ্রুত গতিতে টোল নেওয়া হবে।

নাহিন রেজা আরও বলেন, রাত ১২টা থেকে মহাসড়কের তিনটি সেতুর টোল আদায় বন্ধ করে ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওতে শুরু হয়েছে। রাত ১২টা থেকে সকাল পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার গাড়ি ধলেশ্বরীতে টোল দিয়েছে। টোলপ্লাজার দুপাশে (একপাশ ঢাকামুখী, অপরপাশ মাওয়ামুখী) ছয়টি করে ১২টি বুথে আদায় হচ্ছে টোল।

তিনি বলেন, নতুন একটি সফটওয়্যার রান করা হচ্ছে। আগে যানবাহনগুলো অন্যহারে টোল দিতো, আজ নতুন করে দিচ্ছে। ফলে কিছু সমস্যা হচ্ছে, সময়ও বেশি লাগছে। ছয়টি টোল বুথের মধ্যে একটিতে ইটিসি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। সে সিস্টেমটি চালু হতে আমাদের অল্প কিছু সময় লাগবে।

এছাড়া পদ্মা সেতু হওয়ায় গাড়ির চাপও বেড়েছে তাই যানজট হচ্ছে। আগে ৬-৭ হাজার গাড়ি যেত, এখন ২০ হাজার করে গাড়ি চলাচল করছে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.