‘চলতিবছর ৬ হাজার টন তেল উৎপাদন করবে এমারেল্ড অয়েল’

দীর্ঘ ছয় বছর পর উৎপাদনে ফিরেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এমারেল্ড অয়েল লিমিটেড। চলতি বছর কোম্পানিটি ৬ হাজার টনের বেশি রাইস ব্রান তেল উৎপাদন করবে। প্রতিবছরই উৎপাদনের পরিমাণ বাড়বে। আগামী ২০২৫ সালে কোম্পানিটি বার্ষিক ৩৩ হাজার টন তেল উৎপাদন ও বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ  করেছে।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) নতুনভাবে এমারেল্ড অয়েলের উৎপাদিত ‘স্পন্দন’ ব্র্যান্ডের রাইস ব্রান অয়েলের বাজারজাতকরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর কমিশনার ড. রুমানা ইয়াসমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান।

অনুষ্ঠানে কোম্পানির চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম, মিনোরি বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান মিয়া মোঃ মামুন, ল্যাব এইড হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জন লোকমান হোসেন, একই হাসপাতালের চিফ ডায়েটিসিয়ান নুসরাত দীপা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে এমারেল্ড এমডি আফজাল হোসেন বলেন, ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় কোম্পানির তৎকালীন মালিকরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ায় ২০১৬ সাল থেকে কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়েছিল। নষ্ট হয়ে গিয়েছিল বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি। বিপুল ব্যাংক ঋণ, তিতাসের বকেয়া বিল, গ্যাস সরবরাহের বিভ্রাটসহ অসংখ সমস্যা সামলে কোম্পানিটি উৎপাদনে ফিরেছে। বর্তমানে তারা ব্রেক ইভেনে আছেন। আগামী প্রান্তিক থেকে ভাল ইপিএস আসবে বলে আশা করা যায়।

আফজাল হোসেন বলেন, স্পন্দন তেলের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আগে সয়াবিন তেলের চেয়ে রাইস ব্র্যান অয়েলের দাম ছিল বেশি। তবু স্বাস্থ্যসম্মত বলে ক্রেতারা বেশি দাম দিয়ে-ই এ তেল কিনতেন। বর্তমানে সয়াবিন তেলের দাম বেশি বলে রাইস ব্রান তেল ব্যবহারে আগ্রহ আরও বেড়েছে।

তিনি বলেন, কোম্পানির কয়েক বছরের এজিএম বকেয়া রয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে তারা এসব এজিএম আয়োজনের উদ্যোগ নেবেন।

এমারেল্ড অয়েলের এমডি আফজাল হোসেন কোম্পানিটিকে পুনরায় উৎপাদনে ফেরানোর সুযোগ করে দেওয়ায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) ধন্যবাদ জানান।

তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে ঋণ পুনতফসিল করা এবং তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

মিনোরি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মিয়া মোঃ মামুন বলেন, রাইস ব্রান ভিত্তিক শিল্পের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তারা রাইস ব্রান থেকে তেলের পাশাপাশি ক্রোকারিজসহ নানা পণ্য উৎপাদনের উদ্যোগ নেবেন।

বিএসইসি কমিশনার ড. রোমানা ইসলাম বলেন, বিএসইসি বিনিয়োগকারী, পু্ঁজিবাজার ও অর্থনীতির স্বার্থে বন্ধ কোম্পানিগুলো চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।

তিনি বলেন, স্পন্দন তেলের উৎপাদনে ফেরার ফলে বাজারে স্বাস্থ্যসম্মত তেলের সরবরাহ বাড়বে। কমবে তেলের আমদানি। তাতে সাশ্রয় হবে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.