যুক্তরাজ্যে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি

যুক্তরাজ্যে খাদ্য ও জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধিতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯.১ শতাংশে, যা অতীতের ৪০ বছরের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে । বুধবার (২১ জুন) সিএনবিসি ও দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্সের এক জরিপে অংশ নেওয়া অর্থনীতি বিশ্লেষকদের প্রদত্ত তথ্য অনুসারে কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) দেশটির মূল্যস্ফীতি নিয়ে এ তথ্য তুলে ধরে। জরিপে দেখা যায়, এপ্রিল মাসেও যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ শতাংশ। আর মে মাসে তা দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৯.১ শতাংশ।

এদিকে যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৮২ সাল থেকে মূল্যস্ফীতির মাত্রা সামনে আরো বাড়তে পারে। আগামী বছর জানুয়ারি পর্যন্ত তা বেড়ে ১১ শতাংশ হতে পারে। তবে বছর শেষে (ডিসেম্বরে) এটা সাড়ে ৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে।

করোনার ঢেউ ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দাম বাড়ছে ভোগ্যপণ্যের। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অ্যালকোহলমুক্ত পানীয়, আবাসন প্রকল্প, বিদ্যুৎ-গ্যাস ও পরিবহনের। এক বছর আগে এসবের দাম কম ছিল। সিপিআই প্রদত্ত তথ্যানুসারে এক বছরের ব্যবধানে শুধু খাবার ও কোলড্রিংসের দাম বেড়েছে ০.১৭ শতাংশ। আর বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বেড়েছে ৫৪ শতাংশ।

অপরদিকে মূল্যস্ফীতি বাড়াতে যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ব্যাংক অব ইংল্যান্ড) ১.২৫ শতাংশ ব্যাংক হার বৃদ্ধি করেছে। এটা বিগত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে ব্যাংক অনুমান করছে যে মূল্যস্ফীতি অক্টোবরের মধ্যে ১১ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে দেশটির অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক জানিয়েছেন, সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশকিছু হাতিয়ার ব্যবহার করছে। তিনি আরও বলেন, আমি জানি, দেশের মানুষ জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিতে খুব উদ্বিগ্ন। এ কারণে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছে যাতে ৮০ লক্ষ দরিদ্র পরিবার বারো’শ পাউন্ড করে আর্থিক সহযোগিতা পায়।

অর্থসূচক/এইচডি/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.