৭২৫ রানে জিতে মুম্বাইয়ের বিশ্বরেকর্ড

চলমান রঞ্জি ট্রফিতে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি করেছে মুম্বাই। কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তরাখণ্ডকে ৭২৫ রানে হারিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে দলটি। তাতে ভেঙে গিয়েছে ৯২ বছরের পুরনো একটি রেকর্ড।

১৯২৯-৩০ মৌসুমের শেফিল্ড শিল্ডে নিউ সাউথ ওয়েলস-কুইন্সল্যান্ড ম্যাচে ৬৮৫ রানে জিতেছিল নিউ সাউথ ওয়েলস। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। এতদিন যাবৎ এটই ছিল প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড।

৯২ বছর পর সেই রেকর্ড এখন নিজেদের করে নিয়েছে মুম্বাই। চলতি রঞ্জি ট্রফির দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) উত্তরাখণ্ডকে ৭২৫ রানে হারিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানে জয়ের মালিক এখন মুম্বাই। শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচটি পাঁচদিন পর্যন্ত গড়ালেও মুম্বাই জয় নিশ্চিত করে চারদিনেই।

আলুড়ের কেএসসিএ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সুভেদ পার্কারের ২৫২ রানের কল্যাণে প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৬৪৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে মুম্বাই। উত্তরাখণ্ড প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় মাত্র ১১৪ রানে। ফলো-অন না করিয়ে উত্তরাখণ্ডকে ৭৯৫ রানের লক্ষ্য দেয় মুম্বাই।

পাহাড়সমান লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উত্তরাখণ্ড গুটিয়ে যায় মাত্র ৬৯ রানে। তিনটি করে উইকেট নেন শামস মুলানি, ধাওয়াল কুলকার্নি ও তনুশ কোটিয়ান। ম্যাচসেরা হন ২৫২ রান করা পার্কার। মুম্বাইয়ের রেকর্ডের আগের দিনই ঝাড়খণ্ডের বিপক্ষে বেঙ্গল গড়ে আরেকটি বিশ্বরেকর্ড।

বেঙ্গলের এক থেকে নবম সব ব্যাটার ফিফটি করেছেন, যা ১২৯ বছরের ইতিহাসে প্রথম। রঞ্জি ট্রফিতে এর আগে সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড ছিল ৬৮ বছর আগের। কাটাকে ১৯৫৩-৫৪ মৌসুমে ওড়িশাকে ৫৪০ রানে হারিয়েছিল বেঙ্গল। যা এখন রঞ্জির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানে জয়ের রেকর্ড।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.