বাজেট উচ্চাভিলাষী: জাপা

করোনাভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এমনিতেই বিশ্ববাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। আর এ কারণেই জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েই চলছে, এমন বাস্তবতায় বিশাল বাজেটকে উচ্চাভিলাষী বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

এ সময়, বিশ্বজুড়ে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে বাজেটে খাদ্যপণ্যে ভর্তুকি দেয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সেটি না করে কর আদায়ের পরিকল্পনা ৪২ হাজার কোটি বাড়ানো কোনভাবেই ঠিক হয়নি।

বৃহস্পতিবার ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর বাজেট প্রস্তাবের পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এসব কথা বলেন।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘ডলারের সাথে টাকার বিনিময় হারে টাকার মূল্য কমছে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের জীবন কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে। অন্যদিকে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিশ্ববাজার থেকে কিনে ভর্তুকি দিয়ে দরিদ্র মানুষের জন্য স্বল্প মূল্যে বিক্রির জন্য একটি উদ্যোগ থাকা উচিত ছিল।’

তিনি বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে ৪২ হাজার কোটি টাকা বেশি কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত কর আদায়ের বিরূপ প্রভাব সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট আরও বেড়ে যাবে।’

জি এম কাদের বলেন, ‘বাজেটে আড়াই লাখ কোটি টাকা ঘাটতি দেখানো হয়েছে, যা জিডিপির ৫ শতাংশের ওপরে। আবার ৩৬ শতাংশ অভ্যন্তরীণ ঋণের ওপর ভরসা করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ বেশি হলে ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ফলে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পথ সংকুচিত হতে পারে।

‘আবার বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১৪ দশমিক দুই শতাংশ। দিনে দিনে বিদেশি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে শ্রীলঙ্কার মতো বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে।’

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের সংসদ সদস্য ও সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা, শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরিফা কাদের।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.