সর্বোচ্চ বরাদ্দ যে ১০ প্রকল্পে

বাজেট ২০২২-২৩

‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’এই শিরোনামকে সামনে রেখে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) জাতীয় সংসদে এই বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী ।

বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১০টি খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা। এছাড়া একক প্রকল্প হিসেবে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে ।

সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০ প্রকল্পগুলোর মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে ১৪ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকা, মাতারবাড়ি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্টে ৬ হাজার ১৬২ কোটি টাকা, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচিতে (পিইডিপি-৪) ৬ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে।

এ ছাড়া পদ্মা সেতু রেল সংযোগে (১ম সংশোধিত) ৬ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা, ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে (লাইন-৬) ৪ হাজার ২৩৩ কোটি টাকা, হযরত শাহজালার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ (১ম পর্যায়) কাজে ৩ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণে (২য় সংশোধিত) ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, এলেঙ্গা-হাটিকামরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পে (১ম সংশোধিত) প্রায় ২ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ কাজে প্রায় ২ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা এবং ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পার্শ্বে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ কাজে প্রায় ২ হাজার ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে।

আজ বাজেট উপস্থাপনের পর নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সংসদ সদস্যরা আলোচনা করবেন। এরপর আগামী ৩০ জুন প্রস্তাবিত বাজেট পাশ হবে। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বাংলাদেশের ৫১তম বাজেট এটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের চতুর্থ বাজেট এটি। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি চতুর্থ বাজেট।

স্বাধীনতা-পরবর্তী ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশে মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট দেন তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৭২ সালের ৩০ জুন ওই বাজেট পেশ হয়। তাজউদ্দীন আহমদ ওই দিন একই সঙ্গে ১৯৭১-৭২ ও ১৯৭২-৭৩ অর্থবছর, অর্থাৎ দুই অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। এরপর আরও দুবার বাজেট দেন তাজউদ্দীন আহমদ, সেটি সবশেষ দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৪ কোটি টাকার।

১৩ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার বাজেট দিয়েছেন সদস্য প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও এম সাইফুর রহমান। দুজনেই ১২টি বাজেট উত্থাপন করেছেন। তবে আবুল মাল আবদুল মুহিতই আওয়ামী লীগের হয়ে টানা ১০ বার বাজেট পেশ করেছেন। তিনি প্রথম বাজেট দেন ১৯৮২-৮৩ সালে, এরশাদের শাসনামলে। সেটার আকার ছিল ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। আর সবশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তার বাজেটের আকার ছিল ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.