বিটকয়েনের মতো ‘ডিজিটাল মুদ্রা’ চালুর উদ্যোগ

বাজেট ২০২২-২৩

বিটকয়েন, ইরিথ্রিয়ামের মতো ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টো কারেন্সি চালু হতে পারে আমাদের বাংলাদেশেও। আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক ক্রিপ্টো কারেন্সি চালুর বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করবে।

অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল এই তথ্য জানিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণার বক্তব্যে এ তথ্য জানান।

ভার্চুয়াল লেনদেনের ক্ষেত্রে অর্থ আদান-প্রদান সহজ। অন্যদিকে এটি স্টার্টআপ ও ই-কমার্স ব্যবসা সহায়ক। এ বাস্তবতা থেকে  কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিজিটাল মুদ্রা (Central Bank Digital Currency- CDBC)  চালুর বিষয়ে সমীক্ষা চালাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো ভার্চুয়াল মুদ্রার ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহার বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকায় এর বিকল্প হিসেবে বিশ্বের অনেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের নিজস্ব মুদ্রার ডিজিটাল সংস্করণ চালু করার লক্ষ্যে কাজ করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিজিটাল মুদ্রা (Central Bank Digital Currency (CDBC) চালু করার মূল উদ্দেশ্য হলো ভার্চুয়াল লেনদেনের ক্ষেত্রে অর্থ আদান-প্রদান সহজতর করা এবং স্টার্টআপ ও ই-কমার্স ব্যবসায়কে উৎসাহ প্রদান। আমাদের সরকারের যুগোপযোগী পদক্ষেপের কারণে দেশে ইন্টারনেট ও ই-কমার্সের প্রসার ব্যাপক হারে বেড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে CDBC চালু করার লক্ষ্যে একটি ফিজিবিলিটি স্টাডি পরিচালনা করা হবে।

উল্লেখ, ক্রিপ্টো-কারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা হচ্ছেএক ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা। এই মুদ্রার শারীরিক বা ভৌত কোনো অস্তিত্ব নেই। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই এই মুদ্রার লেনদেন হয়ে থাকে। ২০০৮ সালের শেষের দিকে জাপানের একজন নাগরিক সাতোশি নাকামোতো নামের কেউ বা একদল সফটওয়্যার বিজ্ঞানী এই ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ উদ্ভাবন করেন। নতুন এই ভার্চুয়াল মুদ্রাকে বলা হয় বিটকয়েন। এই মুদ্রার ব্যাপক জনপ্রিয়তার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে ইথেরিয়াম, থ্যাদার, ডজিকয়েনসহ অনেক ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু হয়েছে বিশ্বে।

বিটকয়েন চালুর পর টানা কয়েক বছর এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। তাতে মুদ্রাটির দাম বেড়েছে ধেই ধেই করে। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে প্রতিটি বিটকয়েনের দাম ৬৮ হাজার ডলারে উঠে যায়। তবে এর পর থেকেই চলছে ধস। বর্তমানে বিটকয়েনের মূল্য ২৯ হাজার ডলার।

বিশ্বজুড়ে ক্রিপ্টোকারেন্সির জনপ্রিয়তা যেমন বেড়েছে, তেমনই বেড়েছে একে নিয়ে বিতর্ক। হাতে গোনা কয়েকটি দেশ এই মুদ্রাকে বৈধ ঘোষণা করলেও বেশিরভাগ দেশেই তা অবৈধ। ক্রিপ্টোকারেন্সির কোনো বৈধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা না থাকায়এই ধরনের মুদ্রা লেনদেন সব সময়ই ঝুঁকিপূর্ণ। এ বাস্তবতায় বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রাটিকে ২০১৭ সালে অবৈধ ঘোষণা করে।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.