ফেইসবুকের নির্বাহীর পদত্যাগ: মেটার শেয়ারদর কমেছে

ফেইসবুকের প্রধান নির্বাহী শেরিল স্যান্ডবার্গ পদত্যাগ করেছেন। বুধবার (১ মে) তিনি নিজেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ তথ্য জানান। এ সিদ্ধান্তে ফেইসবুকের সাথে তার ১৪ বছরের কর্মজীবনের সমাপ্তি ঘটেছে। এছাড়া ফেইসবুক স্বত্বাধিকারী মেটার (Meta) শেয়ারে ধাক্কা লেগেছে। খবরে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির

এদিকে তার পদত্যাগের খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে হৈ-চৈ পড়ে যায়। এতেই মেটার শেয়ার ২ শতাংশ কমে যায়। মেটার শেয়ারদরে ধাক্কা লাগার আরও একটি কারণ হলো কোম্পানিটির প্রবৃদ্ধি দিন দিন কমে আসছে।

এদিকে জুকারবার্গ স্যান্ডবার্গের পদত্যাগে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। মার্ক স্বীকার করেছেন যে স্যান্ডবার্গের কাছ থেকে তিনি অনেক কিছুই শিখেছেন। তিনি মনে করেন, আমার ব্যক্তি ও কর্মজীবনের সাথে তার অনেক স্মৃতি রয়েছে। স্যান্ডির সাথে আর একসাথে কাজ করার সুযোগ না হওয়ায় আমি তাকে মিস করছি!

জুকারবার্গ জানান, স্যান্ডবার্গের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন জাভিয়ের অলিভ্যান। জাভিয়েরই কোম্পানিটির পরবর্তী প্রধান অপারেটিং অফিসার। তার দায়িত্বে কিছু পরিবর্তন আসবে।

স্যান্ডির অবদান তুলে ধরে মার্ক বলেন, “মুভ ফাস্ট, ব্রেইক থিংস” এ লক্ষ্য নিয়ে ২০০৮ সালে স্যান্ডবার্গ ফেইসবুকে যোগ দেয়, তখন ফেইসবুকের বয়স ছিল মাত্র চার বছর। আমি তখন মাত্র ২৩ বছরের একজন যুবক। একটা প্রতিষ্ঠান কিভাবে পরিচালনা করতে হয় তা ভালো করে আমার জানা ছিল না। শেরিল আমাদের বিজ্ঞাপন ব্যবসাকে কাঠামো দিয়েছে, প্রতিষ্ঠানে ভালমানের লোকজন নিয়োগ দিয়েছে, কিভাবে কোম্পানিকে লীড দিতে হয় তা শিখেয়েছে।

দেখা গেছে, স্যান্ডি দীর্ঘদিন ধরে ফেইসবুক-কে সক্রিয় চেতনার মধ্য দিয়ে পরিচালনা করলেও তিনি তার দায়িত্বের কারণে প্রতিষ্ঠানের বিতর্কের কেন্দ্রে থাকতেন। তিনি বেশ সমালোচিতও হতেন।

পদত্যাগের বিষয়ে ইনস্টাগ্রামে এক বার্তায় ফেইসবুকের অন্যতম প্রভাবশালী মহিলা শেরিল স্যান্ডিবার্গ জানান, ড্যান রোজেনওয়িগের বাড়িতে একবার একটি পার্টির আয়োজন করা হয়। সেখানে মার্কের সাথে প্রথম দেখা হয়। আমি ও মার্ক ফেইসবুকের ভিশন নিয়ে কথা বলি। পরে আমি ড্যানকে জানাই আমি পার্টিতে একটা নতুন জীবনের সন্ধান পেয়েছি। কিন্তু মার্কের সাথে এক গ্লাস মদও পান করিনি। এরপর অনেক মাস পার হয়ে গেল। মার্কের সাথে অসংখ্য রাতের ডিনার করেছি, আলোচনা করেছি ফেইসবুক নিয়ে। এরপরেই, মাস্ক আমাকে প্রধান নির্বাহী পদে যোগ দিতে বলেন।

যোগ দেওয়ার পর প্রথম প্রথম কেন জানি সবকিছু অগোছালো মনে হল। আমি সকাল ৯টায় ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে সাক্ষাতকারের আয়োজন করতাম। তারা মনে করতেন যে, আমি বুঝি রাত ৯টার কথা বলেছি। কেননা এত সকাল সকাল কে-বা অফিসে আসবে?

একবার মার্ক বুঝতে পেরেছিল যে তার বুঝি এ গ্রীষ্মে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ হবে না। কারণ দায়িত্ব বাড়ছিল। এটা মার্কের কাছে ঝামেলাও মনে হয়েছিল। তাই তিনি আমাদেরকে না বলে, কোনো কিছুর দিক-নির্দেশনা না দিয়ে এক মাসের জন্য বাইরে চলে গিয়েছিলেন। আমি আর ম্যাট তারপরেও কোম্পানির কাজ চালিয়ে নিয়ে গেছি। এটা কখনো ভুলার মত না।

অর্থসূচক/এইচডি/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.