সরকারি সুবিধা নিতে নিজের স্ত্রীকে আবার বিয়ে করতে এসে ধরা

দরিদ্র পরিবারের কন্যার বিয়েতে সহায়তা দিচ্ছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের সরকার। মুখ্যমন্ত্রী কন্যাদান যোজনা নামের এক কর্মসূচির আওতায় গণবিয়ের আয়োজন করা হয়। আর ওই বিয়েতে সংসার জীবন শুরুর প্রাথমিক ব্যয় মেটানোর জন্য দেওয়া হয় আর্থিক সহায়তা। এই সুবিধা নিতে নিজেদের আগের বিয়ের তথ্য গোপন করে গণবিবাহে অংশ নিতে এসে ধরা খেয়েছেন এক দম্পতি। স্থানীয় প্রশাসন তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

খবর আনন্দবাজার ও ফ্রি প্রেস জার্নালের

খবর অনুসারে, অভিযুক্ত বর ভারতের রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই এর স্থানীয় নেতা। খ্যমন্ত্রী কন্যাদান যোজনা’র সুবিধা পাওয়ার জন্য নিজের স্ত্রীকে নিয়ে সরকারি গণবিবাহ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সাক্ষী রেখে সাত পাক ঘুরে মালাবদলের তোড়জোড়ও শুরু করেছিলেন। বিধি বাম! আয়োজকদের একজন নৈতিক চৌধুরী নামের ওই ছাত্রনেতাকে চিনে ফেলেন। সাথে সাথে তারা পুলিশে খবর দিলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, দুই সপ্তাহ আগে নৈতিক চৌধুরী ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ে করেন। সরকারি আর্থিক সহায়তা পাওয়ার লোভে ওই বিয়ের তথ্যকে আড়াল করে হাজির হয়েছিলেন স্থানীয় এক মন্দিরে আয়োজিত গণবিবাহে।

উল্লেখ, উত্তর প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী কন্যাদান যোজনা নামের কর্মসূচির আওতায় নবদম্পতিকে ৫৫ হাজার রুপি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৬৭ হাজার টাকা।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.