যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে রক্তক্ষরণ থেকে। টানা কয়েক সপ্তাহের পতনের পর সূচকের উর্ধমুখী ধারায়পুরো সপ্তাহ পার করেছে বাজার।পরিসংখ্যান অনুসারে, সর্বশেষ সপ্তাহটি দেশটির পুঁজিবাজারের জন্য ছিল গত ১৭ মাসের মধ্যে সেরা সপ্তাহ।
গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে সব সূচকের বড় উল্লম্ফন ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপের বাজারও ছিল চাঙ্গা। জাপান, হংকং, চীন, ভারতের বাজারেও মূল্যসূচক ছিল উর্ধমুখী।
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপের বাজারও ছিল চাঙ্গা। জাপান, হংকং, চীন, ভারতের বাজারেও মূল্যসূচক ছিল উর্ধমুখী।
খবর সিএনএন, সিএনবিসি, ফক্স নিউজ ও এনডিটিভির
খবর অনুসারে, নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের ডাওজোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ সূচক টানা আট সপ্তাহের পতন থেকে বের হয়ে এসেছে। এটি ছিল রেকর্ড পতনের ধারা। ১৯২৩ সালের পর আর কখনো টানা আট সপ্তাহ সূচকটি নিম্নমুখী ছিল না।
সর্বশেষ সপ্তাহে সূচকটি পতনের বৃত্ত ভেঙ্গে শুধু বের হয়ে-ই আসেনি, বড় উল্লম্ফনও ঘটেছে এর। আলোচিত সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছে ৬ দশমিক ২০ শতাংশ।
গত সপ্তাহে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক বেড়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। আর ৬ দশমিক ৮ শতাংশ প্রযুক্তি কোম্পানি প্রভাবিত সূচক নাসডাক। এর আগে টানা ৭ সপ্তাহ সূচক দুটি নিম্নমুখী ছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, আগের কয়েক সপ্তাহে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ব্যাপক দর পতনের কারণে স্বাভাবিক নিয়মেই সেগুলো ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সূচকের উর্ধমুখী ধারায় এই কোম্পানিগুলোর অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। এছাড়া কয়েকটি কোম্পানির ঘোষিত আর্থিক ফলাফলে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা পূরণ এবং দেশটির মূল্যস্ফীতির হার হ্রাসও এতে ভূমিকা রেখেছে।
শুক্রবার (২৭ মে) যুক্তরাষ্ট্রে ডাওজোন্স বেড়েছে ৫৭৫ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮০ শতাংশ। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং নাসদাক ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
শুক্রবার যুক্তরাজ্যের এফটিএসই ১০০ সূচক শুন্য দশমিক ২৭ শতাংশ, জার্মানির ডিএএক্স সূচক ১ দশমিক ৬২ শতাংশ, ফ্রান্সের ডিএএক্স ৪০ সূচক ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ, জাপানের নিক্কি সূচক শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ, চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক শুন্য দশমিক ২৩ শতাংশ, হংকংয়ের হ্যাংসেং সূচক ২ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং ভারতের অ্যাসঅ্যান্ডপি সেনসেক্স সূচক ১ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.