রোববারের মধ্যে ডলারের একক রেট নির্ধারণ

রোববারের মধ্যে এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর জন্য একক রেট নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাবে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন করা সংগঠন বাফেদা ও ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক তা পর্যালোচনা করে আন্তঃব্যাংক ডলারের একক রেট নির্ধারণ করে দেবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাফেদার সাথে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর, বাফেদা ও এবিবির শীর্ষ নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, বৈঠকে ডলারের দর, আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, রেমিট্যান্স বাড়ানোর উপায়সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে এক ব্যাংকের রপ্তানি বিল অন্য ব্যাংকের কাছে বিক্রি করা যাবে না। এছাড়া ডলারের সংকট মেটাতে প্রয়োজনীয় তারল্য সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ ছাড়া ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ডলারের সাময়িক সমস্যা, চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রোববারের মধ্যে একক রেটের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানানো হবে। আমরা যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছি খুব শিগগিরই ডলারের সাময়িক যে চাপ হচ্ছে সেটা সহনীয় হয়ে যাবে।

জানা গেছে, ডলারের আন্তঃব্যাংক দর ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা থাকলেও গত কয়েক দিনে অনেক ব্যাংক প্রবাসী ও রপ্তানিকারকদের থেকে ৯৫ টাকা পর্যন্ত দরে ডলার কিনছে। আর আমদানিকারকদের কাছে বিক্রি করছে ৯৭ টাকা পর্যন্ত দরে। আর খোলাবাজারে ডলারের দর ৯৮ থেকে ৯৯ টাকা।

হঠাৎ করে এভাবে দর বৃদ্ধির পেছনে কোনো কারসাজি আছে কিনা, তা যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন ব্যাংকে পরিদর্শনে নেমেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি বাজার নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে বিক্রির পরিমাণ ৫৮০ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

 

অর্থসূচক/মৃত্তিকা সাহা/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.