নির্ধারিত সময়ে বাজারে আসা নিয়ে অনিশ্চয়তায় আইফোন ১৪

সাপ্লাই চেইন সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ে প্রকাশ্যে আসা নিয়ে অনিশ্চয়তায় আইফোন ১৪। কারণ চীনে করোনা মহামারি মোকাবিলায় আরোপিত লকডাউন উৎপাদন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করেছে। তাই অ্যাপল সরবরাহকারীদের উৎপাদনের গতি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে, করোনা অতিমারি মোকাবিলায় চীনে লকডাউনের কারণে আইফোন ১৪ নির্ধারিত সময় প্রকাশ্যে আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তাই অ্যাপল তার সরবরাহকারীদের উৎপাদন গতি বাড়াতে চাপ দিচ্ছে।

খবর: আরটি

এছাড়াও, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আইফোনের নতুন মডেলের ফোনগুলো অ্যাপলের প্রকাশ করার কথা রয়েছে। তবে ইঞ্জিনিয়ারিং ভেরিফিকেশন টেস্ট (ইভিটি), যেখানে উৎপাদকরা উৎপাদন শুরু করার আগে সমস্ত অংশ এবং প্রক্রিয়াগুলো চূড়ান্ত করে থাকে, সেটি বিলম্বিত হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। যার ফলে নতুন মডেলগুলো প্রকাশ্যে আসার সময় সম্ভবত কয়েক সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে যাবে।

অ্যাপলের স্বাভাবিক সময়সূচী অনুযায়ী উৎপাদকদের জুনের শেষের দিকে ইভিটি সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। কিন্তু জানা গেছে, কমপক্ষে একটি মডেলের ইভিটি তিন সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে গেছে। অর্থাৎ, এটি আনুষ্ঠানিক পণ্য প্রকাশ্যে আসার তারিখে প্রস্তুত থাকবে না, যদি নির্মাতারা কোনোভাবে দেরি হওয়ার জন্য ক্ষতিপূরণ না দিতে পারেন।

এর মানে হলো, আরও কোনো লকডাউনের মধ্যে পড়া যাবে না। আর এটি হওয়ার সম্ভাবনাকে বিশ্লেষকরা উড়িয়ে দিয়েছেন।

এর আগে আইফোন অ্যাসেম্বলার পেগাট্রন কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের কারণে এই বছরের শুরুতে তাদের সাংহাই এবং কুনশান প্ল্যান্টের কাজ স্থগিত করে দেয়। এদিকে ৭ সপ্তাহ জুড়ে সাংহাইয়ের শহরব্যাপী লকডাউন চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অ্যাপল সরবরাহকারীর একজন নির্বাহী জানিয়েছেন, হারানো সময় পূরণ করা চ্যালেঞ্জিং। অ্যাপল এবং এর সরবরাহকারীরা উন্নয়নের গতি বাড়াতে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে। যদিও সাংহাইয়ে পুনরায় সব খোলার গতি বেশ ধীর।

অর্থসূচক/এমআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.