জালিয়াতির দায়ে জেলে আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিচালক

জালিয়াতির দায়ে জেলে গেছেন দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠি আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও দুই পরিচালক। তারা হচ্ছেন- গ্রুপটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম, পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম ও মোঃ তৌহিদুল ইসলাম। তারা সম্পর্কে পরস্পরের ভাই।

আমান গ্রুপের দুটি কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। কোম্পানি দুটি হচ্ছে- আমান কটন ফাইবার্স ও আমান ফিড। গ্রেফতার হওয়া তিন ভাই-ই কোম্পানি দুটির পরিচালনা পর্ষদে আছেন।

বেসরকারি যমুনা ব্যাংকের এক মামলার প্রেক্ষিতে তাদের জেলে পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র অনুসারে, যমুনা ব্যাংক লিমিটেড রাজশাহী শাখা থেকে মেসার্স আরএসএন্ডটি ইন্টারন্যাশনালের নামে ঋণ নিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ও আমার গ্রুপের পরিচালক মোঃ তৌফিকুল ইসলাম। বিধি অনুসারে, এই ঋণের বিপরীতে ১১৩ শতক জমি বন্ধক রাখা হয়। আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম ও পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম ওই ঋণের জামিনদার ছিলেন। ঋণগ্রহীতা তৌফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ঋণের কিস্তি শোধ করেননি। এরই মধ্যে অভিযুক্তরা জালিয়াতির মাধ্যমে বন্ধকী সম্পদ অন্য জায়গায় হস্তান্তর করে দেন।

বন্ধকী সম্পত্তি হস্তান্তরের ঘটনায় যমুনা ব্যাংকের রাজশাহী শাখার ম্যানেজার ২০১৯ সালে শাহমখদুম থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন (সিআর মামলা নং-২৮ সি/১৯ তারিখ (শাহমুখদুম)।

ওই মামলায় আসামীরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিলেন। সম্প্রতি জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে উচ্চ আদালতের আদেশে সোমবার তাঁরা নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। রাজশাহীর বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের জামিন না মঞ্জুর করেন এবং জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মেসার্স আরএসএন্ডটি ইন্টারন্যাশনালের কাছে যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের প্রায় ৮৮.০০ কোটি টাকা পাওনা।

উল্লেখ, আমান গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠান দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। কোম্পানি দুটি হচ্ছে-আমান কটন ফাইবার্স ও আমান ফিড লিমিটেড। এদের মধ্যে আমান ফিড লিমিটেডও একটি খেলাপি প্রতিষ্ঠান। এবি ব্যাংকের কাছে ঋণ খেলাপি এই কোম্পানি।  কোম্পানিটিকে দেওয়া ঋণের অর্থ আদায় করতে না পেরে এবি ব্যাংক আদালতের শরনাপন্ন হয়েছে। খেলাপী ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে বিদ্যমান আইনের আওতায় কোম্পানিটির কারখানা ভবন ও জমি বিক্রি করার জন্য নিলাম ডেকেছিল এবি ব্যাংক। তবে কোম্পানিটি উচ্চ আদালত থেকে এ নিলামের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসে। পরবর্তীতে আদালত কোম্পানিটিকে ওই ঋণ পরিশোধের জন্য সময় বেঁধে দেয়। কোম্পানিটিকে কিস্তিতে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.