আইপিওর কোটা পেতে বাজারে থাকতে হবে বাড়তি বিনিয়োগ

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) যোগ্য বিনিয়োগকারী (Eligible Investor) তথা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত কোটার শেয়ার পেতে চাইলে সেকেন্ডারি বাজারে আগের চেয়ে বেশি বিনিয়োগ থাকতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে বাজারে তারল্য বাড়ানোর লক্ষ্যে কাট-অফ তারিখে ন্যুনতম বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।

আজ সোমবার (২৩ মে) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ সংক্রান্ত একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএসইসির ৮২৪তম কমিশন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিদ্ধান্ত অনুসারে, এখন থেকে আইপিওর কোটার শেয়ারে আবেদন বা নিলামে অংশগ্রহণ করতে হলে কাট-অফ তারিখে পেনশন ফান্ড এবং স্বীকৃত প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচুইটি ফান্ড ব্যতিত অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কমপক্ষে ৩ কোটি টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে সেকেন্ডারি বাজারে। এতদিন সর্বনিম্ন ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ থাকলেই চলত।

অন্যদিকে পেনশন ফান্ড এবং স্বীকৃত প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচুইটি ফান্ডের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বিনিয়োগ থাকতে হবে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা এতদিন শুধু ৫০ লাখ টাকা ছিল।

পেনশন ফান্ড এবং স্বীকৃত প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচুইটি ফান্ড ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুমোদনের কপি এবং নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও ব্যাংকের লেনদেন বিবরণী পরীক্ষা করে দেখবে। কোনো ফান্ড তার নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে প্রদর্শিত অর্থের অতিরিক্ত কোনো অর্থ  আইপিওতে বিনিয়োগ করতে পারবে না।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.