সত্তুর বছরের পুরনো গাড়ি, বিক্রি হল ১৩০০ কোটি টাকায়

শিরোনাম দেখে যে কারো চোখ কপালে উঠতে পারে। তবে হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন। প্রায় ৭০ বছরের পুরনো একটি গাড়ি বিক্রি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকায়। আর এর মাধ্যমে গাড়িটির গায়ে লেগেছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া গাড়ির তকমা।

খবর সিএনবিসির।

খবর অনুসারে, আলোচিত গাড়িটি একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ রেসিং কার। এটি ১৯৫৫ সালে নির্মিত। এটি অতি বিরল গাড়িগুলোর একটি।

গত ৫ মে জার্মানির স্টুটগার্ড শহরে মার্সিডিজের যাদুঘরে অনেকটা গোপনে ও অতি ধনীদের অংশ গ্রহণে একটি নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর ওই নিলামে গাড়িটি আলোচিত দামে বিক্রি হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের গাড়ি সংগ্রাহক, গাড়ির ডিলার ও পরামর্শক সাইমন কিডস্টোন তার এক গ্রাহকের হয়ে গাড়িটির নিলামে অংশ নেন। তিনি গত কয়েকমাস দরে মার্সিডিজ কর্তৃপক্ষকে ক্রমাগত অনুরোধ করে যাচ্ছিলেন গাড়িটি বিক্রি করার জন্য। আর এর প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ এক নিলামের আয়োজন করে, যাতে সর্বোচ্চ দর হাঁকিয়ে জয়ী হন সাইমন। নিলামে গাড়িটি বিক্রি হয়েছে ১৩ কোটি ৫০ লাখ ইউরো বা ১৪ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলারে। বাংলাদেশী মুদ্রায় গাড়িটির দাম পড়েছে ১ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৯০ টাকা ধরে)।

সাইমন কিডস্টোন কার পক্ষ হয়ে নিলামে অংশ নিয়েছেন, অর্থাৎ গাড়িটির প্রকৃত ক্রেতা কে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

আলোচিত মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামী গাড়ি। এর আগের রেকর্ডটি হয়েছিল ২০১৮ সালে। সেবছর এক নিলামে ১৯৬৩ সালে তৈরি একটি ফেরারি জিটিও গাড়ি ৭ কোটি ডলারে বিক্রি হয়েছিল, বর্তমান বিনিময় মূল্য অনুসারে, বাংলাদেশী মুদ্রায় যার মূল্য দাঁড়ায় ৬৩০ কোটি টাকা। ইতালিয়ান কোম্পানি ফেরারি ওই মডেলের মাত্র ৩৬টি গাড়ি উৎপাদন করেছিল, বিক্রিত গাড়িটি ছিল সেগুলোরই একটি।

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.