কমে যাচ্ছে শেয়ারের দাম, বাই-ব্যাক করার দাবি বড় বিনিয়োগকারীর

দেশে দেশে পুঁজিবাজারে দর পতন চলছে। তাতে ভাল-মন্দ কোনো কোম্পানি-ই রক্ষা পাচ্ছে না। পতনের ঢেও লেগেছে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলার শেয়ারেও। টানা দর পতন চলছে কোম্পানিটির শেয়ারে। তাতেই গলা চড়িয়েছেন কোম্পানিটির একজন বড় বিনিয়োগকারী। তিনি টেসলার উদ্যোক্তা ও সিইওর কাছে দাবি জানিয়েছেন, কোম্পানিটি যেন বাজার থেকে ১৫শ কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার কিনে নেয় (Buy-back)।

খবর ফরচুন, সিএনবিসি ও স্ট্রেইট টাইমসের।

বেশ কিছুদিন ধরেই দরপতন চলছে টেসলার শেয়ারে। এই পতনের পেছনে সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতির পাশাপাশি টেসলার সিইও ইলন মাস্কের টুইটার কেনা সংক্রান্ত অনিশ্চয়তাকেও দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ধারাবাহিক দর পতনে চলতি বছর টেসলা ইনকরপোরেশন ৩০ শতাংশের বেশি শেয়ারের মূল্য হারিয়েছে। গত বুধবার (১৮ মে) কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৬ শতাংশের বেশি কমে যায়। তাতে কোম্পানির একজন বড় বিনিয়োগকারী সিঙ্গাপুরভিত্তিক ব্যবসায়ী লি কুগোয়ান হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে পরদিন ইলন মাস্ককে ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার বাই-ব্যক করার দাবি জানান। এ

এক টুইট বার্তায় তিনি এ দাবি জানান। এর মধ্যে চলতি বছর ৫০০ কোটি ডলার ও আগামী বছর ১ হাজার কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার কিনে নিতে বলেন তিনি। বার্তায় তিনি বলেন, বাইব্যাকের জন্য পর্যাপ্ত নগদ তারল্যের রিজার্ভ রাখা উচিত এবং তা যেন কোনোভাবেই বিদ্যমান ১৮’শ কোটি ডলারের রিজার্ভকে প্রভাবিত না করতে পারে।
জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে টেসলার ক্যাশ ফ্লো (নগদ জমা) হয়েছে ২’শ ২০ কোটি ডলার। এ বছরে নগদ জমার পরিমাণ ৮’শ কোটিতে এবং পরবর্তী বছরে বেড়ে তা ১৭’শ কোটি যেতে পারে বলে অনুমান করছেন টেসলার অন্যতম শীর্ষ স্টেক হোল্ডার কোগুয়ান।
আরেকটি টুইটে তিনি জানিয়েছেন, নিজ উদ্যোগে টেসলা বাজার থেকে “অবমূল্যায়িত স্টকস” তুলে নিয়ে নতুন প্রযুক্তি কারখানায় বিনিয়োগ করতে পারে। তবে এ বিষয়ে সিএনবিসির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও প্রতিষ্ঠান কিছুই জানায় নি।
চলতি বছর ৩০ শতাংশ কমেছে টুইটার স্টকের শেয়ারদর। বুধবার, ১৮ মে পুঁজিবাজারে আরও ৬ শতাংশ কমে যায় এর শেয়ারদর। বৃহস্পতিবারও (১৯ মে) সকালের দিকে লেনদেনের গতিপ্রবাহ ছিল কমতির দিকে।
গেল বছর, ২০২১ সালে সাড়ে ৮শ বিলিয়নের রেকর্ড বাইব্যাক হয়েছে পুঁজিবাজারে। এ সময় অ্যাপল বাজার থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক শেয়ার বাইব্যাক (বিনিয়োগকারীদের কাছে থাকা কোনো কোম্পানির নির্দিষ্ট সংখ্যক শেয়ার ক্রয় করা) করেছে যা অ্যালফাবেট ও মেটার থেকেও বেশি। অ্যালফাবেট গত মাসেই (এপ্রিল-২০২২) ৭০ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বাজার থেকে তুলে নিয়েছে।

ফোর্বস জানিয়েছে,  করোনাকালে কোগুয়ান টেসলার শেযারে বিনিয়োগ করে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার মুনাফা করেছেন। তিনি টেসলাতে বিনিয়োগ করার আগে বাইদু, নিভেদিয়া, নিও এবং চাইনা মোবাইল কোম্পানিতেও বিনিয়োগ করেছিলেন। ওইসব কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে সব অর্থ তিনি টেসলায় বিনিয়োগ করেছেন।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.