রুপির রেকর্ড পতনের দিনে নিষিদ্ধ হল গাড়িসহ ৩৮ পণ্যের আমদানি

করোনাভাইরাস অতিমারির ধকল সামলে উঠার আগেই সামনে এসে হাজির রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তাপ। এই যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল ও খাদ্য পণ্যসহ প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে আন্তর্জাতিক বাজারে। বেড়েছে জাহাজের ভাড়া। তাতে পণ্য আমদানিতে ব্যয় হচ্ছে অগের চেয়ে অনেক বেশি ডলার। দেশে দেশে তাই স্থানীয় মুদ্রার দাম পড়ে যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কটের প্রভাবে টালমাটাল পাকিস্তানের অবস্থা। বুহস্পতিবার দেশটির মুদ্রা রুপির রেকর্ড দরপতন হয়েছে। সেখানে প্রতি ডলারের বাজারদর ২০০ রুপিতে পৌঁছেছে। আর এমন রেকর্ড পতনের দিনে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ রক্ষায় বড় এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। নিষিদ্ধ করা হয়েছে গাড়ি, মোবাইল ফোন ও সিগারেটসহ ৩৮টি পণ্যের আমদানি। সঙ্কটময় সময়ে এসব ব্যয়বহুল ও বিলাসী পণ্যের প্রয়োজন নেই মর্মে এগুলোর আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

খবর ডন, পাকিস্তান ট্রিবিউন, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ও রয়টার্সের।

রাজধানী ইসলামাবাদে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব। ‘জরুরি অর্থনৈতিক পরিকল্পনার’ আওতায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

আমদানি নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে গাড়ি, মুঠোফোন, সিগারেট, গৃহস্থালির সরঞ্জাম, ফলমূল, ক্রোকারিজ, ব্যক্তিগত অস্ত্র ও গোলাবারুদ, জুতা, বৈদ্যুতিক বাতি, হেডফোন ও লাউড স্পিকার, সস, দরজা ও জানালার কাঠামো, ভ্রমণে ব্যবহৃত ব্যাগ, স্যানিটারি পণ্য, মাছ, কার্পেট, সংরক্ষিত ফলমূল, টিস্যু পেপার, আসবাব, শ্যাম্পু, বেকারি পণ্য, বিলাসবহুল ম্যাট্রেস ও স্লিপিং ব্যাগ, জ্যাম ও জেলি, কর্নফ্লেক্স, প্রসাধনী, হিটার ও ব্লোয়ার, সানগ্লাস, রান্নাঘরের সরঞ্জাম, হিমায়িত মাংস, ফলের জুস, পাস্তা, আইসক্রিম, দাড়ি কামানোর সামগ্রী, বিলাসী চামড়াজাত পোশাক, বাদ্যযন্ত্র, সেলুনের সরঞ্জাম, চকলেট ও কোমল পানীয়।

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও মৌলবাদী জঙ্গীদের তৎপরায় কাবু পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত কমে আসছে। বর্তমানে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মাত্র ১৬ বিলিয়ন ডলার। এটি গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.