বাংলাদেশ কখনোই শ্রীলঙ্কার মত হবে না: বিএসইসি কমিশনার

শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশ কখনোই শ্রীলঙ্কার মত হবে না। ইট ইজ নেভার পসিবল ইন দিজ কান্ট্রি।”

আজ (১৮ মে) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বণিক বার্তা এবং বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) যৌথ উদ্যোগে ‘এনবিএফআই মেলা ২০২২’ শীর্ষক “অর্থনৈতিক উন্নয়নে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সম্ভাবনা ও চ্যানেঞ্জ” শিরোনামে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এ মেলার উদ্বোধন করেন।

বিদ্যমান বাজার বিষয়ে বিএসইসি কমিশনার বলেন, বিনিয়োগকারিদের মাঝে “গুজব” ও “আতংক” প্রবেশ করেছে। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ প্রসঙ্গে, অনেকেই না তবে কতিপয় মনে করছেন যে, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। কিন্তু আমি বলছি, বাংলাদেশ কখনোই শ্রীলঙ্কার মত হবে না। ইট ইজ নেভার পসিবল ইন দিজ কান্ট্রি।

“ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি”, এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের নিয়ন্ত্রিত একটি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছি যে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আমাদের যেসব টেক্সট বোর্ড আছে, ইগজামিনেশন বোর্ড আছে তাদের সমন্বয়ে করে কারিকুলাম তৈরি করা। যাতে আমরা ছোট বেলা থেকেই ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর সম্বন্ধে একটা ধারণা দিতে পারি।

এবার ট্রেজারি বিভাগের সিইএফদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যেহেতু আপনারা বলেছেন আপনাদের হিউম্যান রিসোর্স এফিশিয়েন্সি আছে সেহেতু ঊই আর রেডি টু ট্রেইনিং টু ডেভেলপ ইউ উড লাইক টু সি।

দেশে ৩৪ টি নিবন্ধিত এনবিএফআই আছে যার মধ্যে ২৩ টি বিএসইসিতে নিবন্ধিত আছে বলে আলোচনা সভায় তিনি আরও যোগ করেন। এসব নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে “কর্পোরেট গভর্নেন্স” দিক থেকে দেখা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

আলোচনা সভায় বিভিন্ন ফাইন্যান্স কোম্পানির সিইওদের উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে, আমরা একটি কর্পোরেট গভর্নেন্স ফ্লোর তৈরি করেছি। রুলস তৈরি করেছি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উল্লেখযোগ্য সর্বোচ্চ যেসব প্রাকটিস আছে সেগুলোকে নিয়ে এবং বিদ্যমান ২০১৫ সালের যে গভর্নেন্স গাইডলাইন্স আছে, সেখান থেকে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত নিয়ে নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোর জন্য রুলস তৈরি করেছি, কর্পোরেট গভর্নেন্সের কোড তৈরি করেছি।

পুজিঁবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো যদি লিস্টেড কোম্পানি হয়, তাহলে তাকেও কর্পোরেট গভর্নেন্সের যে রুলস আছে তা ফলো করতে হবে।

এখনো ব্যাংক প্রতিষ্ঠানগুলো আনফরচুনেটলি কর্পোরেট গভর্নেন্সের কোডকে ধারণ করছেন না বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটির কারণ আমি যতটুকু জানি ব্যাংকিং কোম্পানির এ্যাক্টে সে ধরণের কোড সম্ভবত লেখা নেই।

এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএলএফসিএ’র চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলামসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

অর্থসূচক/এইচডি/এমআর/ এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.