দুই বছরের সর্বনিম্ন দামে সিমেন্ট খাতের দুই কোম্পানি

পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক দর পতনে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের দাম ব্যাপকভাবে কমে গেছে। এর মধ্যে কোনো কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম ২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে চলে এসেছে্ এই তালিকায় আছে সিমেন্ট খাতের ২ কোম্পানি। কোম্পানি দুটি হচ্ছে-মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড ও প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেড।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

আজ মঙ্গলবার (১৭ মে) ডিএসইতে মেঘনা সিমেন্টের শেয়ার সর্বোচ্চ ৭০ টাকা সর্বনিম্ন ৬৭ টাকা ৫০ পয়সা দরে কেনাবেচা হয়। শেয়ারটির ক্লোজিং মূল্য ছিল ৬৮ টাকা ৫০ পয়সা।

আজকের ক্লোজিং মূল্য গত দুই বছরের মধ্যে মেঘনা সিমেন্টের শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য। ২০২০ সালের ২ জুন ডিএসইতে শেয়ারটির দাম ছিল ৭৫ টাকা ৪০ পয়সা। গত বছরের জুলাই মাসে শেয়ারটির দাম বাড়তে থাকে। এটি গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর ১০১ টাকা ৯০ পয়সায় উঠে। এর পর থেকে দাম কমতে থাকে শেয়ারের। গত ৮ মার্চ শেয়ারটির দাম ৬৯ টাকায় নেমে আসে। আজ মূল্য আরও ৫০ পয়সা কমে সেখান থেকেও নিচে নেমে আসে মেঘনা সিমেন্টের শেয়ারের।

বসুন্ধরা গ্রুপের এই কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে আসে। এর পরিশোধিত মূলধন ২৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আর শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৮৬ লাখ ৫১ হাজার। এই শেয়ারের ৪৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ আছে উদ্যোক্তাদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৩৩ দশমিক ৪১ শতাংশ। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটি ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশসহ মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২ টাকা ৭৩ পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৫ পয়সা। এই ইপিএসকে বার্ষিকীকরণ (Annualized) করলে দাঁড়ায় ১ টাকা ৯৩ পয়সা। তবে বছর শেষে প্রকৃত ইপিএস এর চেয়ে কম-বেশি হতে পারে।

এদিকে আজ প্রিমিয়ার সিমেন্টের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে ৫০ টাকা থেকে ৫১ টাকার মধ্যে। শেয়ারটির ক্লোজিং মূল্য ছিল ৫০ টাকা ৮০ পয়সা। গত বছরের ২ জুন শেয়ারটির দাম ছিল ৬১ টাকা। পরবর্তী দাম বেড়ে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ৯৫ টাকা ৫০ পয়সায় উঠে। সেখান থেকে কমতে কমতে আজ ৫০ টাকা ৫০ পয়সা দাঁড়ায়।

কয়েকটি বড় শিল্প গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে আসে। এর পরিশোধিত মূলধন ১০৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আর শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার। এই শেয়ারের ৪৭ দশমিক ১৫ শতাংশ আছে উদ্যোক্তাদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ২০ দশমিক ২৬ শতাংশ। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩২ দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৬ টাকা ১৮ পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৭ পয়সা। এই ইপিএসকে বার্ষিকীকরণ (Annualized) করলে দাঁড়ায় ৪৯ পয়সা। তবে বছর শেষে প্রকৃত ইপিএস এর চেয়ে কম-বেশি হতে পারে।

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.