বিদেশ থেকে প্রাপ্ত আয় বৈদেশিক মুদ্রায় সংরক্ষণ করা যাবে

প্রবাসীরা এখন সহজেই দেশের যে কোনো ব্যাংকে বিদেশি মুদ্রার হিসাব খুলতে পারেন। বিদেশ থেকে সেই ব্যাংক হিসাবে যে কোনো পরিমাণ আয় পাঠানো যায়। আবার বিদেশ থেকে আসার সময় নগদ বিদেশি মুদ্রা আনলে তা-ও ওই হিসাবে জমা রাখা যায়। এখন থেকে গ্রাহকের সম্মতিতে বিদেশ থেকে প্রাপ্ত আয় বৈদেশিক মুদ্রায় সংরক্ষণও করা যাবে।

সোমবার (১৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের বদৈশেকি মুদ্রা ও নীতি বভিাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে যে আয় আসবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ওই আয় বৈদেশিক মুদ্রায় সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবে। তবে বিষয়টি অবশ্যই গ্রাহককে জানাতে হবে। গ্রাহকের সম্মতি ছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা টাকায় নগদায়ন করা যাবে না।

বিদেশি মুদ্রা অবাধে বিদেশে স্থানান্তর বিষয়ে জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি দূর করতে এর আগে গত ১০ মে বিজ্ঞপ্তি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবাসীরা এখন সহজেই দেশের যে কোনো ব্যাংকে বিদেশি মুদ্রার হিসাব খুলতে পারেন। বিদেশ থেকে সেই ব্যাংক হিসাবে যে কোনো পরিমাণ আয় পাঠানো যায়। আবার বিদেশ থেকে আসার সময় নগদ বিদেশি মুদ্রা আনলে তা-ও ওই হিসাবে জমা রাখা যায়।

পাশাপাশি বিদেশে যাওয়ার সময় ১০ হাজার ডলারের সমপরিমাণ মুদ্রা সঙ্গে নেয়া যায়। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছেও ঘোষণা দিতে হয় না। তবে ১০ হাজার ডলারের বেশি হলে প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিতে হবে।

 

জানা গেছে, বর্তমানে বিদেশে সেবা সরবরাহের বিপরীতে আসা আয়ের অর্থ বৈদেশিক মুদ্রায় সংরক্ষণ করা যায়। এছাড়া আইটি সেবা খাতের বিপরীতে প্রাপ্ত আয়ের ৭০ শতাংশ এবং অন্যান্য সেবা খাতে ৬০ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রায় সংরক্ষণ করা যায়। সংরক্ষণযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবকে রফতানিকারকের রিটেনশন কোটা হিসাব নামে পরিচিত।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.