দেড়শ কোটি ডলারের শেয়ার বাই-ব্যাক করবে সনি

জাপানের বহুজাতিক কর্পোরেশন সনি বাজার থেকে ১৫৪ কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার তুলে নেবে (Buy-back), যা জাপানি মুদ্রায় ২০০ বিলিয়ন ইয়েনের সমান। সম্প্রতি কোম্পানিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

খবরে সিএনবিসি।

খবর অনুসারে, আগামী এক বছরের মধ্যে আলোচিত সিদ্ধান্তটি কার্যকর হবে। আজ (১১ মে) থেকে আগামী বছরের ১০ মের মধ্যে শেয়ার কেনা সম্পন্ন করবো সনি।

এদিকে মার্চ প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২২-মার্চ’২২) সনি করপোরেশন রেকর্ড পরিমাণ পরিচালন মুনাফা (Operating Profit) করেছে। পরিচালন মুনাফায় হয়েছে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি। আলোচিত প্রান্তিকে কোম্পানিটির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ১০৬ কোটি ডলার (১৩৯ বিলিয়ন ইয়েন)। এই মুনাফা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৭ শতাংশ বেশি।

এ ধরনের বড় অঙ্কের মুনাফা হওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে প্লেস্টেশন-৫ (পিএস-৫) গেমস। পিএস-৫ হলো সনির হাই-কনফিগারেশনের ভিডিও গেমস। পরিচালন মুনাফা বড় অবদানের জন্য কোম্পানিটি তার স্পোর্টস বিভাগকে কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে।

সনির ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন বলছে, একবছরের ব্যবধানে তার গেমিং বিভাগের মুনাফার বেড়েছে ১৭৫ শতাংশ। আর্থিক সমাপ্ত বছর মার্চ প্রান্তিকে স্পোর্টস বিভাগ সাড়ে ১১ মিলিয়ন ইউনিট পিএস-৫ প্রোডাক্ট বিক্রি করেছে, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৭.৮ মিলিয়ন ইউনিট।

সনির চীফ ফিন্যান্সশিয়াল অফিসার হিরোকি জানিয়েছেন, সনি আশা করছে যে চলতি আর্থিক বছর থেকে আগামী বছরের মার্চ প্রান্তিকের মধ্যেই ১৮ মিলিয়ন একক পিএস-৫ বিক্রি করতে পারবে। পিএস-৫ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারলে তাতে ৫৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।

তবে হিরোকি চীনের করোনা মহামারি চিন্তা করে বিশ্লেষকদের সতর্ক করেছেন যে লকডাউন হলে বিক্রয়ক্ষমতা কমতে পারে।

মুনাফা বাড়ায় কোম্পানিটি অনুমান করছে যে স্পোর্টস বিভাগের পরিচালন মুনাফা চলমান বছরে ১২ শতাংশ কমতে পারে যেহেতু গেমস তৈরির ব্যয় বাড়ছে এবং এ ব্যয় সর্বোচ্চ রেকর্ড হতে পারে যদি সনির প্রস্তাবিত ডেসটিনি ও হলো মেকার বুঙ্গিকে কেনা হয়।

স্পোর্টস বিভাগ ছাড়া সনির বিনোদন বিভাগ মুনাফা বৃদ্ধিতে সাফল্য দেখিয়েছে বলে কোম্পানিটির টোকিও হেডকোয়ার্টার জানিয়েছে। মার্চ প্রান্তিকে বিনোদন বিভাগ থেকে ছাড়া “স্পাইডার-ম্যানঃ নো ওয়ে হোম” চলচ্চিত্রটি বাজারে ভালো কাটায় পরিচালন মুনাফাও বেড়েছে।

সনির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিরোকি চলমান বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি ও বৈশ্বিক অর্থব্যবস্থায় ধীরগতি্র কারণে মুদ্রাস্ফীতি প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। আমরা ধারণা করছি চলতি আর্থিক বছর সম্প্রতি অতিবাহিত হওয়া তিন বছরের চেয়েও কঠিন হবে।”

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.