ইকুয়েডরের একটি কারাগারে বন্দীদের মধ্যে ভয়াবহ দাঙ্গায় অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও শতাধিক বন্দী। এ সুযোগে পালিয়েছে ১০৮ জন আসামি।
সোমবার (৯ মে) দেশটির সান্তো ডমিঙ্গো শহরের একটি কারাগারে এ ঘটনা ঘটে। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্যাট্রিও কারিলো গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অধিকাংশ মানুষকে মারা হয়েছে ধারালো ব্লেড দিয়ে।
এ ঘটনায় ইকুয়েডর পুলিশ প্রধান ফস্টো সালিনা জানিয়েছেন, এই ঘটনা ছিল ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড। এ সময় গ্রেনেড, মেশিন গান, গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় সোমবার সকালে মাদকচক্রের মূলহোতাকে জেলখানার এক সেল থেকে অন্য সেলে স্থানান্তরের সময় এমন ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
আদালতের সমালোচনা করে সালিনা জানান, কোর্টের আদেশে মাদকচক্রের প্রধানহোতাকে স্থানান্তর করার সময় এ ধরনের নাশকতা তৈরি হয়েছে। পরে দুই শতাধিক পুলিশ টানা দু’ঘন্টার অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী গিলারমো লাসো ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করতে গেলে কারাগারে এই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়। তিনি এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, এটাই মাদকগোষ্ঠীর সহিংসতার দুর্ভাগ্যজনক ফলাফল।
উল্লেখ্য, মাদক চক্রের উস্কানিতে ২০২১ সালের থেকেই শুরু করে এ নিয়ে ইকুয়েডরের কারাগারে ষষ্ঠ বারের মত ভয়াবহ দাঙ্গা সংঘটিত হয়েছে। এতে এ পর্যন্ত অন্তত ৪ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
অর্থসূচক/এইচডি/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.