ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণ, একই পরিবারের দগ্ধ ৪

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বাড়িতে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ মে) সকালে ফতুল্লা পাইলট স্কুলের পাশে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন- একটি কারখানা শ্রমিক রোজিনা আক্তার (৩৩), স্বামী রিকশা চালক আনোয়ার হোসেন (৪০), ছেলে হুঁশিয়ারি কারখানা শ্রমিক রোমান (১৭) ও স্কুলছাত্র রোহান(৯)।

দগ্ধ আনোয়ার হোসেন জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে জানালা দিয়ে গ্যাসের বুদবুদ শব্দ শুনতে পাই। তার কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ একটি শব্দ হয়ে আগুন লেগে যায়। আমার ছেলে ও স্ত্রীকে ডাকার আগেই পুরো রুমে আগুন লেগে যায়। পরে আমরা সবাই দগ্ধ হয়েছি।

আনোয়ার হোসেনের ভাবি রুনা আক্তার অভিযোগ করেন, ওই বাড়িটির পাশ দিয়ে অন্য বাড়ির একটি গ্যাস লাইন নেওয়া হয়েছে। পুরাতন সেই পাইপ লাইনটির রাইজার ছিল আনোয়ারদের ঘরের জানলার পাশে। সেখান থেকে সব সময়ই গ্যাস বের হতো। সবসময়ই গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যেত। এটি বাড়ির মালিককে বারবার বলা হয়েছে মেরামত করে দিতে। তবে তা ঠিক করে দেয়নি।

স্বজনদের অভিযোগ, ঠিক সময়ে এটি মেরামত করে দিলে আজ এই দুর্ঘটনা ঘটতো না।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা.আইয়ুব হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে আনোয়ার ১৭ শতাংশ, রোজিনা ২৪ শতাংশ, তার ছেলে রুহান ৩৫ শতাংশ ও রোমান ৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের মধ্যে রোমান শঙ্কামুক্ত। বাকি তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তদের সবাইকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে ভর্তি করা হয়েছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.