ইউক্রেনে মার্কিন ফার্স্ট লেডি ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী

ঘোষণা ছাড়াই মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন ইউক্রেনে পৌঁছেছেন। রোববার (৮ মে) ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা ঝেলেনার সাথে দেখা করতে সেখানে যান তিনি। একই দিনে কানাডার প্রেসিডেন্টও যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে দেখতে গিয়েছেন। খবর- দ্য জেরুজালেম পোস্ট

ওলেনার সাথে সাক্ষাতে জিল বাইডেন বলেন, ইউক্রেনবাসীর বুঝা উচিত এ যুদ্ধ থামানো উচিত, এই যুদ্ধ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। আমেরিকার লোকজন ইউক্রেনের পাশে আছে।

এর আগে জিল বাইডেন শুক্রবার (৬ মে) রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়াতে যান, সেখানে আশ্রয় নেওয়া ইউক্রেনের নারী ও শিশুদের সাথে ‘মা দিবস’ কাটাতে।পরে ইউক্রেন ফার্স্ট লেডির সাথে সাক্ষাত শেষে জিল দেশে ফিরে আসেন।

একই দিনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছান এবং ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জিলানস্কির সাথে সাক্ষাত করেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রুডোর যোগাযাগ পরিচালক ক্যামেরুন আহমদ জানিয়েছেন, ইউক্রেনের নাগরিকদের প্রতি কানাডার অটুট সমর্থন নিশ্চিত করতে এবং ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করতেই প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ইউক্রেনে এসেছেন।

জিলানস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, মস্কোর ইউক্রেন হামলার সংযুক্তিতার কারণে কানাডা নতুন করে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে।

তিনি বলেন, আমি ইউক্রেনকে অর্থায়ন,সামরিক সহযোগিতা, ড্রোন ক্যামেরা, স্যাটেলাইট ইমেজারি, অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ অন্যান্য সহযোগিতা করার ঘোষণা দিচ্ছি।

এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমরা রাশিয়ার আরও ৪০ ব্যক্তি ও ৫টি কোম্পানি সত্ত্বা, অলিগার্ক ও প্রতিরক্ষায় রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের উপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছি।কানাডা পুনরায় ইউক্রেনের রাজধানীতে দূতাবাস খুলতে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।

জানা গেছে, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কানাডা জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে ২৫ মিলিয়ন ডলার সরবরাহ করছে। সেই সঙ্গে আগামী বছর থেকে দেশটি ইউক্রেনের বাণিজ্য শুল্কও প্রত্যাহার করবে।

কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী ও মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন ইউক্রেন সফরে আসার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে ফোনালাপ হয়েছে।

অর্থসূচক/এইচডি/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.