ফাফ ডু প্লেসির হাফ সেঞ্চুরি, রজত পাতিদারের ৪৮ এবং দীনেশ কার্তিকের শেষের ঝড়ে ১৯২ রানের বড় পুঁজি পেয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। রাহুল ত্রিপাঠির হাফ সেঞ্চুরির পরও বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নামা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ডানহাতি এই লেগ স্পিনারের ৫ উইকেটের দিনে ৬৭ রানের বড় জয় পেয়েছে বেঙ্গালুরু।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে জয়ের জন্য ১৯৩ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি হায়দরাবাদ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারায় তারা। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের করা লেংথ বলে কভারে ঠেলে দিয়ে এক রান নিতে গেলে সাজঘরে ফেরেন নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা কেন উইলিয়ামসন।
বিরাট কোহলির ডিরেক্ট থ্রোতে কোনো বল ফেস না করেই সাজঘরে ফেরেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক। একই ওভারে আউট হয়েছেন অভিষেক। ম্যাক্সওয়েলের করা লেংথ বলে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। এরপর অবশ্য প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এইডেন মার্করাম ও ত্রিপাঠি।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪৯ রান। হাসারাঙ্গার টসড আপ ডেলিভারিতে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন ২১ রান করা মার্করাম। পাঁচে নেমে আক্রমণাত্বক শুরুর চেষ্টা করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি নিকোলাস পুরান।
হাসারাঙ্গার গুগলি বলে স্লগ করতে গিয়ে থার্ড ম্যানে থাকা শাহবাজ আহমেদের হাতে ক্যাচ দেন ১৪ বলে ১৯ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটার। জগদ্বেশা সুচিথকেও ফেরান হাসারাঙ্গা। ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মাঝে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ত্রিপাঠি।
৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা ত্রিপাঠিকে সাজঘরে ফিরিয়ে বেঙ্গালুরুর জয়ের পথ সুগম করেন জস হ্যাজেলউড। ৩৭ বলে ৫৮ রান করে ফেরেন ত্রিপাঠি। এরপর সেভাবে কেউ দাঁড়াতে পারেনি। শেষ দিকে শশাংক সিং ও উমরান মালিককে ফিরিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন হাসারাঙ্গা। ১৯৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা হায়দরাবাদ অল আউট হয় ১২৫ রানে।
আগে ব্যাটিং করে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রানের পুঁজি পায় বেঙ্গালুরু। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক ডু প্লেসি। এ ছাড়া পাতিদার ৪৮, ম্যাক্সওয়েল ৩৩ এবং কার্তিক খেলেছেন ৮ বলে অপরাজিত ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.