গুলির শব্দ দিয়েই শোলাকিয়ায় জামাত শুরু

ঈদের জামাত শুরুর আগে শোনা যায় বন্দুকের গুলির শব্দ। রেওয়াজ অনুযায়ী গুলির শব্দ নামাজের প্রস্তুতি নেওয়ার বার্তা প্রদান করে। এরপরেই কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় নামাজ শুরু হয়।

নামাজ শুরুর আগে ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ ময়দান শোলাকিয়ায় ঢল নামে লাখো মুসল্লির। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর ঈদের জামাত হয়নি। তবে এবার বিধিনিষেধ না থাকায় কাতারে কাতারে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ গুড়িগুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে কাদা-জলে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।

আজ মঙ্গলবার (৩মে) সকাল ১০টায় ঈদের জামাত শুরু হলেও সকাল ৯টার মধ্যেই শোলাকিয়া ঈদগাহ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এর আধঘন্টা পরেই সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়।

জানা গেছে, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও প্রায় ৩ লাখ মুসল্লি ঈদের জামাতে অংশ নিতে জড়ো হয় ময়দানটিতে। নামাজের আগে বৃষ্টি শুরু হলেও তা উপেক্ষা করে, বৃষ্টিতে ভিজে তারা নামাজ আদায় করেছেন।

এবার অসুস্থতার কারণে মাঠের নির্ধারিত ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ আসতে না পারায় ইমামতি করেন কিশোরগঞ্জ বড় বাজার শাহাবুদ্দিন জামে মসজিদের খতিব ইমাম মাওলানা শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ। নামাজ শেষে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।

এ ঈদগাহের জন্য এটি ১৯৫তম ঈদুল ফিতরের জামাত। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদ জামাত অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশাসন। ২০১৬ সালের জঙ্গি হামলার বিষয়টি মাথায় নিয়েই শোলাকিয়া ঈদগাহে চার স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ঈদ জামাত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ড্রোন ক্যামেরা, বাইনোকুলারসহ পাঁচ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও মাঠে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার এবং সিসি ক্যামেরা দ্বারা পুরো মাঠ মনিটরিং করা হয়। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন থাকে।

আরও মোতায়ন রাখা হয় অ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিম এবং ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটসহ পুলিশের কুইক রেসপন্স টিমও প্রস্তুত রাখা হয়। দূরের মুসল্লিদের সুবিধার্থে ঈদের দিন কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রুটে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস’ নামে দুটি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়।

অর্থসূচক/এইচডি

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.